Nadia: মদ্যপ অবস্থায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে এলোপাতাড়ি কোপালো জামাই, আহত স্ত্রী এবং শশুর

চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল নদিয়ার শান্তিপুর থানা এলাকায়। মদ্যপ অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী এবং শ্বশুরকে এলোপাতাড়ি কোপাল জামাই। মদ্যপ জামাইকে সামলাতে না পেরে শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুরের বাইগাছি পাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত জামাই অজয় বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার স্ত্রী এবং শ্বশুর দু'জনেই গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয় হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে।পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাস পাড়ার বাসিন্দা অজয় বিশ্বাসের সঙ্গে নমিতা বিশ্বাসের বিয়ে হয়েছিল ১৭ বছর আগে। নমিতার অভিযোগ, তার স্বামী মদ্যপ অবস্থায় তাকে প্রায়ই মারধর করত। তাই স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে তিনি বাপের বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু, সেখানে গিয়েও যে অজয় এরকম কাণ্ড ঘটাবে তা বুঝতে পারেনি নমিতা। পরিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে মদ্যপ অবস্থায় আচমকাই শ্বশুর বাড়ি যায় অজয়। সেখানে প্রথমে শ্বশুরবাড়ির সকলকে গালিগালাজ করতে শুরু করে। ঘটনায় নমিতা বিশ্বাস প্রতিবাদ করতেই তার ওপর চড়াও হয় অজয়। তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। অজয়ের শ্বশুর মেয়েকে বাঁচাতে গেলে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে অভিযোগ। অজয়ের স্ত্রী ও শ্বশুর ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অজয়ের স্ত্রী ও শ্বশুরের শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক সেলাই পড়ে। এদিকে, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শান্তিপুর থানার। এরপর আততায়ী অজয় বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে।নমিতার কথায়, ‘আমি ১৭ বছর ধরে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করেছি। আর সহ্য করতে পারছিলাম না। তাই বাপের বাড়ি চলে এসেছিলাম। কিন্তু, সেখানে যে এরকম কাণ্ড ঘটাবে তা বুঝতে পারিনি। ও আমাকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি।’ এই ঘটনায় অজয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নমিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা।