একের পর এক পর্যটকের মৃত্যুতে সান্দাকফু ট্রেকের জন্য বাধ্যতামূলক হতে চলেছে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। তবে কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ হবে তা এখনও জানা যায়নি। সঙ্গে সান্দাকফুর মতো উচ্চতায় কী করণীয় সেব্যাপারে পর্যটকদের সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন - তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, বদলে গেল দলের খোলননচে
পড়তে থাকুন - বীরভূমে কার নেতৃত্বে চলবে তৃণমূল? কর্মসমিতির বৈঠকে স্পষ্ট করলেন মমতা
গত কয়েক বছরে সান্দাকফু ট্রেকে গিয়ে একাধিক অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। প্রায় সবাই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এর পরই এব্যাপারে প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে। জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছেন। যা কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশ করবে জেলা প্রশাসন। সেখানে সান্দাকফু যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের অনুমতিপত্র থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর সেই অনুমতিপত্র পেতে গেলে অভিযাত্রীর মেডিক্যাল সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক হতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, মানেভঞ্জন থেকে পাওয়া যাবে অনুমতিপত্র। তবে অনলাইনেও আগাম অনুমতিপত্র তৈরির ব্যবস্থা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সব ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানা গিয়েছে। তার পরও কোনও ব্যক্তির সুস্থতা নিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকদের মনে প্রশ্ন থাকলে স্থানীয় হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে তাঁকে। তবে কতদিনের পুরনো মেডিক্যাল সার্টিফিকেট বৈধ তা এখনও জানা যায়নি।
ভারতে ১০ হাজার ফুটের থেকে বেশি উচ্চতার প্রায় সমস্ত ট্রেকিংয়ে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। ব্যতিক্রম ছিল শুধু সান্দাকফু। প্রায় ১২ হাজার ফুট উচ্চতার এই ট্রেকে এখনও মেডিক্যাল সার্টিফিকেট ছাড়াই যাওয়া যায়। তার জেরেই বিপত্তি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ১০ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় বাতাসের ঘনত্ব দ্রুত কমতে থাকে। ফলে শরীরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া হয়। কম অক্সিজেনে কাজ চালানোর জন্য শরীরকে অভিযোজিত হতে কয়েকদিন সময় দিতে হয়। কেতাবি ভাষায় যাকে বলে অ্যাক্লামেটাইজেশন। কিন্তু সময়ের অভাব ও খরচের কথা ভেবে প্রায় কেউই সেসবের পরোয়া করেন না। যার ফলে ঘটে বিপত্তি। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থাকলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
আরও পড়ুন - মুখপাত্রের পদই পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনা অভিষেকের, দলের রাশ হাতে রাখলেন মমতাই
সান্দাকফুর নিকটতম স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে সুকিয়াপোখরিতে। তবে সেখানেও পরিকাঠামো নামে মাত্র। তাই মানেভঞ্জনের আসেপাশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা চলছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।