হাতে বেশি আইপিএস অফিসার নেই। সেজন্য তিন অফিসারকে কেন্দ্রের ডেপুটেশনে পাঠানো যাবে না বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছে নবান্ন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রের সেই নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য রাজ্য। অর্থাৎ ওই তিন অফিসারকে ছাড়তেই হবে।
১৯৫৪ সালের ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (ক্যাডার) রুলস অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের মধ্যে কোনওরকম মতভেদের ক্ষেত্রে ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে।’ নিয়মে বলা হয়েছে, ‘কোনওরকম মতভেদের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে সেই বিষয়টি নির্ধারণ করতে হবে অথবা কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তকে মেনে চলতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে।’
ডেপুটেশনের নিয়ম অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রের সম্মতি নিয়ে কোনও অফিসারকে কেন্দ্রীয় সরকার বা অন্য রাজ্য সরকারে ডেপুটেশনে কাজ করতে পারেন। একইভাবে কেন্দ্র বা অন্য রাজ্যের দ্বারা পুরোপুরি বা আংশিক নিয়ন্ত্রিত কোনও সংস্থা, সমিতি বা ব্যক্তিগতদের সংস্থায় ডেপুটেশনে কাজ করতে পরেন অফিসাররা। আর ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস) অফিসাররা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকেন।
গত বৃহস্পতিবার শিরাকোলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারকে কেন্দ্রের ডেপুটেশনে কাজ করার জন্য তলব করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ওই তিন অফিসার হলেন - ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে, দক্ষিণবঙ্গের এডিজি রাজীব মিশ্র এবং প্রেসিজেন্সি রেঞ্জের ডিআইজি প্রবীণ ত্রিপাঠী। ডায়মন্ড হারবারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে হলেন ২০১১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। যিনি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত ‘আস্থাভাজন’ বলে দাবি বিরোধীদের। প্রবীণ ত্রিপাঠী হলেন ২০০৪ ব্যাচের আইপিএস অফিসার। আর ১৯৯৬ ব্যাচের আইপিএস অফিসার হলেন দক্ষিণবঙ্গের এডিজি প্রবীণ ত্রিপাঠী।