পরিবারের দাবি, চন্দননগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের রেল আবাসনের বাসিন্দা বছর উনিশের পিয়ালি রাজভর চৌধুরীর প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল গত শনিবার। এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, হাসপাতালের তরফে তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও রকমের সমস্যা নেই।
শিশু মৃত্যুকে ঘিরে বিক্ষোভ।
প্রসূতির গর্ভে শিশু মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল চন্দননগর মহাকুমা হাসপাতালে। পরিবারের অভিযোগ, প্রসূতির গর্ভে যমজ সন্তান ছিল। দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়সারা মনোভাবকে দায়ী করে বিক্ষোভ করেন পরিবারের সদস্যরা। তাদের বক্তব্য, প্রসূতির গর্ভে যে যমজ সন্তান ছিল তারা তাদের জানানো হয়নি। যদিও যমজ সন্তান থাকার কথা অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় প্রসূতির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।
পরিবারের দাবি, চন্দননগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের রেল আবাসনের বাসিন্দা বছর উনিশের পিয়ালি রাজভর চৌধুরীর প্রসব যন্ত্রণা উঠেছিল গত শনিবার। এই অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, হাসপাতালের তরফে তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয় কোনও রকমের সমস্যা নেই। ফলে ওইদিন চিকিৎসকরা প্রসূতিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। এরপর মঙ্গলবার ফের প্রসব যন্ত্রণা ওঠায় প্রসূতিকে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আলট্রাসনোগ্রাফি করার পর চিকিৎসকরা দেখেন গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, বুধবার পর্যন্ত প্রসূতির কোনও অস্ত্রোপচার করা হয়নি। তাদের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। তাদের বক্তব্য, এর ফলে প্রসূতির ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু, হাসপাতলের তরফে বিষয়টি বোঝানো হলে তাদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়। এরপর বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক নিয়মেই মৃত সন্তান প্রসব করেন পিয়ালি।