মোট ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে। এই ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ আলাদা আলাদা জায়গায় অবস্থিত। মহাশিবরাত্রিতে এই প্রতিটি জায়গাতেই মহাদেবের পুজো হয়। দেখে নিন, সেই জ্যোতির্লিঙ্গগুলি কোথায় কোথায়।
১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ এবং তাৎপর্য
১. সোমনাথ: এই জ্যোতির্লিঙ্গ গুজরাটের সোমনাথ জেলায় রয়েছে।
তাৎপর্য: এটি প্রথম জ্যোতির্লিঙ্গ হিসাবে পরিচিত। এটি শিবের চিরন্তন এবং অবিনশ্বর প্রকৃতির প্রতীক। এটি একাধিকবার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।
২. মল্লিকার্জুন: এই জ্যোতির্লিঙ্গ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীশইলমে রয়েছে।
তাৎপর্য: এই মন্দিরটি ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতীর মিলনস্থল হিসেবে মানা হয়। তাছাড়াও এটি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি হিসাবেও বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: মহাশিবরাত্রি ২০২৫-র তিথি কবে পড়ছে? পুজো কোন সময় করা শুভ? রইল শাস্ত্র ও পঞ্জিকামত
৩. মহাকালেশ্বর: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে অবস্থিত।
তাৎপর্য: ভস্ম আরতির জন্য বিখ্যাত। মনে করা হয় ভগবান শিব এখানে সময় ও মৃত্যুর অধিপতি হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি মুক্তি প্রদান করেন।
৪. ওমকারেশ্বর: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মধ্যপ্রদেশের নর্মদা নদীর মান্ধাতা দ্বীপে অবস্থিত।
তাৎপর্য: পবিত্র ‘ওম’-এর মতো আকৃতির এই জ্যোতির্লিঙ্গটি সর্বজনীন চেতনার প্রতীক।
৫. কেদারনাথ: এই জ্যোতির্লিঙ্গ উত্তরাখণ্ডের গাড়ওয়াল হিমালয়ে অবস্থিত।
তাৎপর্য: হিমালয়ের কোলে এই মন্দির।
৬. ভীমশঙ্কর: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মহারাষ্ট্র পুনে জেলায় রয়েছে।
তাৎপর্য: সবুজে ঘেরা এই মন্দিরে ভগবান শিব অশুভের বিনাশকারী রূপে অবস্থান করেন।
আরও পড়ুন: দিনে ৩ বার শিবলিঙ্গর রঙ বদলায়, বিয়ের জন্য করা মানত কখনও যায়না ব্যর্থ এই মন্দিরে
৭. কাশী বিশ্বনাথ: এই জ্যোতির্লিঙ্গ উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত।
তাৎপর্য: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মুক্তি এবং আশীর্বাদ প্রদান করে।
৮. ত্র্যম্বকেশ্বর: এই জ্যোতির্লিঙ্গ মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলায় অবস্থিত।
তাৎপর্য: গোদাবরী নদীর উৎপত্তি স্থলের কাছাকাছি অবস্থিত এই মন্দির সৃষ্টি, সংরক্ষণ এবং ধ্বংস চক্রের প্রতিনিধিত্ব করে।
৯. বৈদ্যনাথ: এই জ্যোতির্লিঙ্গ ঝাড়খণ্ডের দেওঘর অবস্থিত।