সনাতন ধর্মে শক্তির পুজোর উৎসবকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। নবরাত্রির নয় দিন উপবাসের সঙ্গে কন্যা পুজো করা হয়। হিন্দু ধর্মে অষ্টমী ও নবমীর দিনে এই পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনগুলিতে মা মহাগৌরী ও সিদ্ধি দাত্রীর পুজোর পাশাপাশি কন্যা সন্তানের পুজোর রীতিও রয়েছে। কন্যা পুজো কে কঞ্জকও বলা হয়। জেনে নিন চৈত্র নবরাত্রিতে কোন সময়ে কন্যা সন্তানের পুজো করা শুভ হবে। আসুন জেনে নিই কন্যা পুজোর শুভ সময়, পুজো পদ্ধতি ও নিয়ম।
কন্যা পুজো ২০২৩
তিথি- অষ্টমী
তারিখ - ২৯ মার্চ ২০২৩
অষ্টমী তিথির সূচনা - ২৮ মার্চ সন্ধ্যা ৭।৩০ মিনিটে
অষ্টমী তিথি শেষ হয় - ২৯ মার্চ রাত ৯:০৮ মিনিটে
কন্যা পুজো নবমী ২০২৩
তিথি- নবমী
তারিখ - ৩০ মার্চ ২০২৩
নবমী তিথির সূচনা - ২৯ মার্চ, ২০২৩ রাত ৯।০৭ টায়
নবমী শেষ হবে - ৩০ মার্চ, ২০২৩ রাত ১১।৩০ টায়
সনাতন ধর্মে কন্যা পুজোর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নবরাত্রিতে উপবাস করে কন্যা সন্তানের পুজো করলে মা প্রসন্ন হন। সুখ-সমৃদ্ধি, ধন-সম্পদের আশীর্বাদ দেন। এর পাশাপাশি কন্যা সন্তানের পুজো করলে কুণ্ডলীতে নয়টি গ্রহের অবস্থান মজবুত হয়।
কন্যা পুজোর পদ্ধতি
প্রথমে আমন্ত্রিত কন্যারা বাড়িতে এলে একটি বড় প্লেটে কিছু দুধ ও ফুল জলে রেখে তাতে মেয়েদের পা ধুয়ে নিন। একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে এরপর তাদের পা মুছে পা স্পর্শ করুন। এবার মেয়েদের বসিয়ে হাল্কা ঘি দিয়ে কপালে সিঁদুর লাগান। এর পরে গোটা চাল অল্প ছিটিয়ে পুজো করুন এবং ফুল নিবেদনের সঙ্গে চুনরি অর্পণ করুন। এরপর পূর্ণ ভক্তি সহকারে সামর্থ্য অনুযায়ী ছোলা, হালুয়া বা খাবার খাওয়ান। খাবার খাওয়ার পর মেয়েদের উপহার সহ কিছু টাকা দিন এবং তাদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিন এবং ভুলের জন্য ক্ষমা চান। শেষে মেয়েদের হাতে কিছু কাঁচা চাল দিন এবং যা তারা বাড়ির মহিলাদের আঁচলে দেবে। এর পর মেয়েদের সম্মানের সঙ্গে বিদায় করুন।
কন্যা পুজোর নিয়ম
নবরাত্রিতে মেয়েদের পুজো র বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কন্যাসন্তানের পুজো করার সময় কিছু নিয়মের যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। অষ্টমী বা নবমীর দিনে কন্যাপূজন করা উত্তম বলে মনে করা হয়। শুধুমাত্র ২ থেকে ১০ বছরের মধ্যের কন্যাদের কন্যা পুজোর জন্য ডাকা হয়। অন্তত ৯ জন মেয়েকে কন্যা পুজোর জন্য ডাকতে হবে। আপনি চাইলে বেশি সংখ্যাতেও আমন্ত্রণ করতে পারেন। মেয়েদের বসানোর আগে তাদের পা ধুয়ে নিন। মেয়েদের খাওয়ানোর আগে মা দুর্গাকে খাবার নিবেদন করতে ভুলবেন না। মেয়েদের খাবারে রসুন-পেঁয়াজ একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। মেয়েদের খাওয়ানো খাবারে একেবারেই ভেজাল দেবেন না। খাবার যেনও সাত্ত্বিক হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন।