চার মুখি রুদ্রাক্ষের গুণাগুণ, রুদ্রাক্ষের উপকারিতা: কোন রুদ্রাক্ষ কে সর্বশ্রেষ্ঠ রুদ্রাক্ষ বলা হয়ে থাকে? এই রুদ্রাক্ষ ধারণে কি ফল লাভ হয়? জেনে নেওয়া যাক এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মনোজিৎ দে সরকারের মতামত।যে রুদ্রাক্ষের প্রাকৃতিক ভাবে চারটি ঘাড়ী থাকে, তাকে চার মুখী রুদ্রাক্ষ বলা হয়। অধিষ্ঠাতা দেবতা ব্রহ্মা। নিয়ন্ত্রক গ্রহ বুধ। ধারণ করলে সৃজনশক্তি বৃদ্ধি পায়। সন্তানের বিদ্যার উন্নতির জন্য চার, তেরো, বাইশ আর পনেরো বছর বয়সের পর পাঁচ, চোদ্দ, তেইশ মুখী রুদ্রাক্ষ বেশ ফলপ্রদ। এই সব রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে মনের মতো সন্তান লাভের সম্ভাবনা থাকে। সাক্ষাৎ ব্রহ্মার স্বরূপ এটি। যা ধারণ করলে, ধর্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ লাভ হয়।ওম হ্রীং নম: মন্ত্র জপ করে একে ধারণ করতে হয়। চারমুখী রুদ্রাক্ষ ব্রহ্মার প্রভাবেই উৎপত্তি। এই রুদ্রাক্ষে ব্রহ্মার সমস্ত শক্তি নিহিত আছে। এই রুদ্রাক্ষ যে ব্যক্তি ভক্তি সহকারে ধারন করবেন তিনি অসীম বিদ্যা ও জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হবেন। যে সব ছাত্র-ছাত্রীর পড়াশোনায় একদম মন বসে না, তারা যদি এই রুদ্রাক্ষ ধারন করে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ ফলদায়ক হয়।অকাল মৃত্যুর হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে থাকে। মানুষের অর্থ ও কাম এই রুদ্রাক্ষ বহন করে। এই রুদ্রাক্ষের অনুসন্ধানে মানুষ ভীষণ উদগ্রীব। গৃহস্থ মানুষের পক্ষে এটা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া চারমুখী রুদ্রাক্ষ মালা গলায় থাকলে গুপ্ত শত্রু ক্ষতি করতে পারে না। তবে বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, রাশি আর লগ্ন বিচার করে এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তবেই উপযুক্ত ফল পাওয়া সম্ভব।বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকারযোগাযোগ: 8777679776