হর্ষি বেদ ব্যাসকে সমস্ত পুরাণের রচয়িতা বলে মনে করা হয়। গুরু পূর্ণিমায় গুরু পূজার প্রথা বহু শতাব্দী প্রাচীন।
শাস্ত্রে আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আষাঢ় পূর্ণিমা গুরু পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। এই দিনে বেদের রচয়িতা মহর্ষি বেদ ব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। মহর্ষি বেদ ব্যাসের চারটি বেদেরই জ্ঞান ছিল। এ বছর গুরু পূর্ণিমা বা আষাঢ় পূর্ণিমা ১৩ জুলাই পালিত হবে।
আষাঢ় পূর্ণিমায় গ্রহের শুভ অবস্থানের কারণে অনেক রাজযোগ তৈরি হচ্ছে। এবার গুরু পূর্ণিমায় বৃহস্পতি, মঙ্গল, বুধ ও শনির শুভ মিলনে রুচক, হংস, ভাদ্র যোগ তৈরি হচ্ছে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে গুরুর আরাধনা করলে ব্যক্তির কুণ্ডলীতে গুরু দোষ ও পিতৃ দোষ শেষ হয়। গুরুর আরাধনা করলে চাকরি, পেশা ও ব্যবসায় লাভের বিশ্বাস রয়েছে।
গুরু পূর্ণিমা ১৩ জুলাই সকাল ৪ টায় শুরু হবে এবং পরের দিন বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই সকাল ১২.০৬ টায় শেষ হবে। ১৩ জুলাই দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ইন্দ্র যোগ থাকবে। ভদ্রা সকাল ০৫.৩২ থেকে বিকাল ০২:০৪ পর্যন্ত। এই দিনের রাহু কাল দুপুর ১২.০৭ থেকে ০২.১০ পর্যন্ত।
গুরু পূর্ণিমার দিনে কি করবেন
এই দিনে জাফরানের তিলক লাগাতে হবে এবং হলুদ জিনিস দান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে গীতা পাঠ করা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে পিতা, গুরু ও পিতামহের আশীর্বাদ চাইতে হবে। এই দিনে পিপল গাছে জল নিবেদন করা শুভ বলে মনে করা হয়।
গুরু পূর্ণিমার দিনে কি কিনবেন
গুরু পূর্ণিমার দিন রৌপ্য বা পিতলের যেকোনো জিনিস কেনা উচিত। এই দিনে কপি-বই বা স্টেশনারি সামগ্রী কেনা শুভ বলে মনে করা হয়।
( উপরোক্ত তথ্যে এটা কখনই দাবি করা হচ্ছে না যে এটা পূর্ণত সত্য এবং সঠিক ৷ এই তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত )