বুধবার ২ অক্টোবর ২০২৪-এ মহালয়া। এই মহালয়ের দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। কিন্তু তাছাড়াও এই দিনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিন অনেকেই নিজের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন। মনে করা এই রীতির মাধ্যমে তাঁদের বিদেহী আত্মার মুক্তি ঘটে, পাশাপাশি পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদও লাভ করা যায়।
তাছাড়াও জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই দিনটির অনেক গুরুত্ব রয়েছে। মহালয়ার দিন এমন বিশেষ কিছু কাজ আছে যা করলে আমাদের ভাগ্যের হাল ফিরতে পারে বলে মনে করা হয়। কিছু বিশেষ টোটকা রয়েছে যা মেনে চলতে পারলে খুবই উপকার পাওয়া যায়। আবার এমন কিছু কাজ রয়েছে যা এই দিন একেবারেই করা উচিত নয়। দেখে নিন এই দিন কী কী কাজ করা উচিত, এবং কী কী কাজ করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: পিতৃপক্ষের অমাবস্যা ২০২৪ কবে? মহালয়ার আগের দিন তিথি শুরু কখন? দেখে নিন
মহালয়ার দিন কী কী কাজ করলে শুভ ফল লাভ করা যায়?
১) যদি সম্ভব হয় মহালয়ার দিন বাড়িতে পাঁচ জন কিংবা সাত জন ব্রাম্ভণকে নিমন্ত্রণ করে, তাঁদের সেবা করুন। এ ছাড়া বাড়িতে কিছু শিশুদের নিমন্ত্রণ করেও খাবার খাওয়াতে পারেন। এর থেকে শুভ ফল পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়।
২) মহালয়ার এই বিশেষ দিনে যে কোনও পশুপাখিকে খাবার খাওয়ানো খুব শুভ বলে মনে করা হয়।
৩) মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে একটা তামার ঘটিতে কাঁচা দুধ, কালো তিল, আতপ চাল, সাদা ফুল এবং গঙ্গাজল মিশিয়ে বাড়ির কোনও ফাঁকা জায়গায় ঢেলে দিন। এই কাজটা কোনও জলাশয়েও করা যেতে পারে। একে তর্পণ করা বলা হয়। অনেকেই নিজের পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে এইদিন তর্পণ করে থাকেন।
৪) মহালয়ার দিন কোনও অসহায় মানুষকে তাঁর প্রয়োজনীয় জিনিস দান করতে পারেন।
৫) মহালয়ার দিন বাড়িতে অবশ্যই নিরামিষ খাবার খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: মহালয়ার দিনে ২০২৪র দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ! গ্রহণের পর কী কী দান করলে শুভ ফল পাবেন? দেখে নিন
মহালয়ার দিন কী কী কাজ করতে নেই?
১) এই দিন একেবারেই চুল-দাড়ি এবং নখ কাটতে নেই।
২) মহালয়ার দিন কাউকে কিছু ধার দিতে নেই।
৩) মহালয়ার দিন ভুলেও বাড়িতে কোনও মাঙ্গলিক কাজ করবেন না।
৪) বাড়ি, গাড়ি বা অন্যান্য কিছু যদি নতুন করে কেনার প্রয়োজন থাকে, তা হলে এই দিনটি এড়িয়ে চলাই ভালো। এদিন নতুন কিছু কেনা উচিত নয়।
৫) বাড়িতে কোনও দরিদ্র ব্যক্তি আসেন তাহলে তাঁকে এই দিক একেবারেই খালি হাতে ফেরানো উচিত নয়। এই দিন দান করলে পুণ্য লাভ করা যায়।
দাবিত্যাগ: এখানে দেওয়া তথ্য সাধারণ বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা এটি নিশ্চিত করে না।