২০১২ সালে ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম বার জিতেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর সেটাই এখনও পর্যন্ত প্রথম এবং শেষ জয়। নাইটদের জন্য ওয়াংখেড়েতে কী ‘জুজু’ রয়েছে, সেটা সত্যিই রহস্যের। দলের মালিকের শহরেই বারবার মাথা নীচু করে ফিরতে হয় কলকাতার দলকে।
ওয়াংখেড়েতে ফের হারল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
ওয়াংখেড়ে যেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বধ্যভূমি হয়ে উঠেছে। সেই ১১ বছর আগে আরব সাগরের পারের স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ জিতেছিল নাইটরা। তার পর থেকে এবং তার আগেও কখনও ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জয় পায়নি কেকেআর। ২০১২ সালেই ওয়াংখেড়েতে প্রথম জিতেছিল তারা। আর সেটাই এখনও পর্যন্ত শেষ জয়। নাইটদের জন্য ওয়াংখেড়েতে কী ‘জুজু’ রয়েছে, সেটা সত্যিই রহস্যের। দলের মালিকের শহরেই বারবার মাথা নীচু করে ফিরতে হয় কলকাতার দলকে। রবিবাসরীয় ওয়াংখেড়েতে ১৪ বল বাকি থাকতে কলকাতাকে ৫ উইকেটে হারাল মুম্বই। টানা দ্বিতীয় জয় পেল তারা। এ দিকে, কলকাতা টানা দু’টি ম্যাচে হেরে গেল।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে কেকেআর। কলকাতার টিমের ওপেনিং জুটি নিয়ে সমস্যা এই ম্যাচেও মিটল না। চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেন ওপেনাররা। তবে কেকেআর ইনিংসে মণিমুক্তোর মতো ছড়িয়ে পড়েছিল বেঙ্কটেশ আইয়ার শটগুলি। প্রথমার্ধটা ওয়াংখেড়ে জুড়ে ছিলেন শুধুই বেঙ্কটেশ। এ দিন নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন বেঙ্কি। মুম্বইয়ের কোনও বোলারই তাঁর সামনে টিকতে পারেননি। তাঁর ঝোড়ো সেঞ্চুরির হাত ধরে কেকেআর তাও ১৮৫ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পেরেছিল।
রহমানুল্লা গুরবাজ এবং নারায়ণ জগদীশন ওপেন করতে নেমে ব্যর্থ হলেও, সেটা ঢেকে দেন বেঙ্কটেশ। তিনি এ দিন ৫১ বলে ১০৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। কলকাতার ইনিংসে ১০টা ছক্কার মধ্যে ৯টাই তাঁর। অফসাইডে হোক লেগসাইডে, সব দিকেই সমান স্বাচ্ছন্দ্যে শট মারেন বেঙ্কটেশ। কেকেআর-কে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছতে সাহায্য করলেন। ১৮৫ রানের মধ্যে বেঙ্কি একাই করেছেন ১০৪ রান। বাকিরা মিলে করেন মাত্র ৮১ রান। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে কেকেআর ব্যাটিংয়ের শোচনীয় দশা।
কেকেআর-এর হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আন্দ্রে রাসেলের। তিনি ১১ বলে ২১ রান করেন। তবে বেঙ্কটেশ যে ভাবে খেলেছিল, তাতে মনে হয়েছিল দু'শো পার করবে কলকাতা। ১১ ওভারে একশো পার করে ফেলেছিল কেকেআর। ১১ ওভারে ১০৪ রান ছিল কলকাতা দলের। বাকি ৯ ওভারে উঠল ৮১ রান। ওয়াংখেড়ের মতো ছোট মাঠে এই স্কোর যে মোটেই ভরসা দেওয়ার মতো ছিল না, সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
জবাবে রান করতে নেমে মুম্বই শুরুটা করে ঝোড়ো মেজাজে। ওপেন করতে নেমে ইশান ঝড় তোলেন। ২৫ বলে ৫৮ করে তিনি সাজঘরে ফেরেন। এর পর সূর্যকুমার যাদব ২৫ বলে ৪৩ রান করেন। সূর্যকুমার যাদব যেন কলকাতা ম্যাচকেই বেছে নিয়েছিলেন রানে ফেরার জন্য। তিলক বর্মা করেন ২৫ বলে ৩০। ওপেন করতে নেমে ১৩ বলে ২০ রান করেন রোহিত শর্মা। টিম ডেভিড ১৩ বলে অপরাজিত ২৪ করে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ব্যাট করতে নেমে সহজেই জয় ছিনিয়ে নেয় কেকেআর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।