Shilton Pal Retire: শুক্রবার রেনবো এফসির হয়ে খেললেন পেশাদার কেরিয়ারকে বিদায় জাালেন শিল্টন পাল। পেশাদার কেরিয়ার থেকে অবসর নিলেন শিল্টন পাল। তবে তাঁকে যে রেনবো এফসি থেকে অবসর নিতে হবে তা হয়তো তিনি কখনও ভাবেননি। একটা সময় মোহনবাগান জনতার চোখের মণি ছিলেন, ভালোবেসে তাঁকে ‘বাজপাখি’ ও বলা হত। মোহনবাগানের নেতৃত্বও সামলেছিলেন। তবে সেই মোহনবাগান থেকে নিজের কেরিয়ারের শেষ ম্যাচটা আর খেলা হল না। চিমা ওকোরির কথাতেই মোহনবাগান ছাড়েননি শিল্টন পাল। দলের ঘরের ছেলে হতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই হয়তো কখনও ইস্টবেঙ্গলে খেলেনি। ১৪ বছর খেলেছিলেন মোহনবাগানে।
আরও পড়ুন… ভারতীয় দলে তরুণ দ্রাবিড়! টিম ইন্ডিয়ার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা পেল রাহুল দ্রাবিড়ের ছেলে
আর কখনও কোনও পেশাদার ম্যাচে শিল্টন পালকে দেখা যাবে না। এক দশকেরও বেশি সময় সবুজ মরুন জার্সি গায়ে খেলেছিলেন, এবার ফুটবলকে বিদায় জানালেন ভারতীয় ফুটবলে পেশাদার গোলরক্ষক শিল্টন পাল। ব্যারাকপুর মাঠে কলকাতা লিগে র্জজ টেলিগ্রাফ স্পোর্টস ক্লাবের বিরুদ্ধে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেললেন রেনবোর শিল্টন। জর্জের এক্সিকিউটিভ সচিব অধিরাজ দত্তর উদ্যোগে ম্যাচ শেষে উভয় দলের ফুটবলার, কর্তারা শিল্টনকে গার্ড অফ অনার দেন।
অবসর নিয়ে কী বললেন শিল্টন পাল?
শিল্টন পাল জানান, ‘মোহনবাগানের জার্সিতে পথ শেষ না করার কষ্ট আছেই। তবে রেনবো থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি তা ভোলার নয়। আর মোহনবাগানের দলগঠন কতটা অফিসিয়ালদের হাতে আছে আমার সন্দেহ।’ এরপরে মোহনবাগানের দল গঠন নিয়ে বলেন, ‘একবার এটিকে মোহনবাগান আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর আর কিছু জানায়নি। এরপর আমি চার্চিলের হয়ে আই লিগে খেলতে চলে গেলাম।’
আরও পড়ুন… Paralympics 2024: ইতিহাস গড়লেন অবনী! ভারতের ঝুলিতে চারটি পদক, দেখে নিন দ্বিতীয় দিনে ভারতের ফল
রেকর্ড রয়েছে শিল্টন পালের-
উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের শিল্টন টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছিলেন। ২০০৬ সালে মোহনবাগানে সই করেন। দীর্ঘ ১৪ বছর মোহনবাগানে খেলে ২০২০-তে সই করেন চার্চিল ব্রাদার্সে। তার একাধিক ক্লাব হয়ে শেষ পর্যন্ত কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশনের রেনবোর হয়ে নিজের পেশাদার কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলন তিনি। মোহনবাগানের হয়ে টানা ১৪ বছর। সবুজ মেরুনের ক্যাপ্টেন হিসেবে জিতেছিলেন আই লিগ। মোহনবাগানের হয়ে দু’বার আই লিগ, তিনবার ফেডারেশন কাপ, তিনবার ক্যালকাটা ফুটবল লিগ জিতেছেন শিল্টন পাল। ব্যক্তিগত ট্রফির সংখ্যাও কম নয়। ২০১৭-১৮ মরশুমে হয়েছিলেন আই লিগের সেরা গোলকিপার।
একটা সময়ে সুব্রত পাল, সংগ্রাম মুখার্জীদের পাহাড় প্রমাণ চ্যালেঞ্জের সামনে নিজেকে তুলে ধরেন। একটা সময় ভেবেছিলেন মোহনবাগানের বদলে এয়ার ইন্ডিয়ায় সই করবেন। তবে চিমা ওকোরির কারণে সেটা করেননি। মোহনবাগানে থেকে যাওয়ার জন্য শিল্টনকে বুঝিয়েছিলেন চিমা। কর্তারাও শ্লিটনকে দলে রাখার জন্য আগ্রহী ছিলেন। শেষ পর্যন্ত মোহনবাগানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরের বছর ক্লাবে সই করেছিলেন ফার্স্ট চয়েস কিপার হিসেবে। এরপর আর তাঁকে ফিরে তাকাতে হয়নি। মোহনবাগানে টানা খেলার রেকর্ড আছে শিল্টনের। বাগানের হয়ে আই লিগও জিতেছেন তিনি। তাই শেষ মুহূর্তে বাগানের জার্সিতে বিদায় না নিতে পারার কষ্টটা আছেই ময়দানের বাজপাখির।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।