এবারে প্রথম প্রিমিয়র লিগে খেলার সুযোগ পেয়েই এখনও অবধি নিজেদের পারফরম্যান্সে সকলকেই প্রভাবিত করেছে ব্রেন্টফোর্ড। আর্সেনালকে হারানোর পাশপাশি লিভারপুলের বিরুদ্ধে ড্রও করেছে তারা। শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে ওয়েস্ট লন্ডন ডার্বিতে চেলসির বিরুদ্ধে ফের একবার ব্রেন্টফোর্ডের লড়াইয়ের সাক্ষী থাকল ফুটবলবিশ্ব।
ম্যাচের প্রথমার্ধ চেলসিই নিজেদের দাপট বজায় রেখেছিল। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে সেজার অ্যাজপেলিকুয়েটার ক্রস ঠিকভাবে ক্লিয়ার করতে না পারায়, তা পৌঁছে যায় বেন চিলওয়েলের কাছে। নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে গোল করতে কোন ভুল করেননি চেলসি ফুলব্যাক। ব্রেন্টফোর্ডের ২২ মিনিটে ব্রায়ান এমবুমোর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে প্রথমার্ধে নিজেদের খেলা দেখাতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করতে থাকেন ইভান টনিরা। একের পর এক শটে ঝাঁঝরা করে দেয় চেলসির ডিফেন্স। টনির শট গোলকিপার এডুয়ার্ড মেন্ডি সেভ করার পর এমবুমো পুনরায় ফিরতি বল পোস্টে মারেন।

সেটপিস, লং থ্রোয়ে থিয়াগো সিলভা, অ্যান্টোনিও রুডিগারদের অনুপস্থিতিতে চেলসি রক্ষণকে রীতিমতো নাজেহাল দেখাচ্ছিল। তবে দিনের শেষে জয় ও পরাজয়ের মাঝে ব্লুজদের হয়ে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে যান মেন্ডি। ম্য়াচের সময় যত গড়াতে থাকে, ব্রেন্টফোর্ডের হু হু করে ধেয়ে আসা আক্রমণের বিরুদ্ধে মেন্ডির দুর্দান্ত সেভের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। ম্যাচের ৯০ মিনিটের মাথায় মেন্ডি নিজের ষষ্ঠ সেভটি করেন। অবশেষে তাঁর সুবাদেই কোনক্রমে ১-০ ব্যবধানে জিতে ব্রেন্টফোর্ড কমিউনিটি স্টেডিয়াম থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফেরে চেলসি।
এই জয়ের ফলে লিভারপুলকে পিছনে ফেলে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে পুনরায় লিগ শীর্ষে পৌঁছে গেল চেলসি। অপরদিকে, থমাস ফ্রাঙ্কের বিজরা ১২ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানেই রইল। চেলসির পরের খেলা নরউইচের বিরুদ্ধে, ব্রেন্টফোর্ড মাঠে নামবে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডকে সদ্য হারানো লেস্টার সিটির বিপক্ষে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।