স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক গত ২৭ জুন একটি অফিস মেমোরেন্ডাম জারি করে সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য। সেই মেমোর মাধ্যমে সিজিএইচএস কার্ড প্রদানের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত নির্দেশিকাগুলি জারি করা হয়েছে। নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, চাকরিরত কর্মীদের একটি অস্থায়ী রেফারেন্স নম্বর তৈরি করতে বাধ্যতামূলকভাবে নতুন সিজিএইচএস কার্ডের জন্য অনলাইনে (www.cghs.nic.in) আবেদন করতে হবে।
সিজিএইচএস-এর জন্যে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর, সরকারি কর্মীদের অবশ্যই সেটির একটি প্রিন্টআউট নিতে হবে এবং যথাযথভাবে স্বাক্ষর করা হার্ড কপিতে ছবি যুক্ত করে বর্তমানে নিযুক্ত বিভাগে জমা দিতে হবে প্রক্রিয়াকরণের জন্য। পরবর্তীতে সেখান থেকে সেই আবেদন সিজিএইচএস-এর অতিরিক্ত পরিচালকের কাছে পাঠানো হবে। এদিকে সিজিএইচএস সেই কর্মীর জমা দেওয়া নথি এবং আবেদন খতিয়ে দেখবে।
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য অ্যাকাউন্টের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পের লিঙ্ক করতে বারণ করা হয়েছে সরকারি কর্মীদের। এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, ৩০ জুনের মধ্যে সিজিএইচএস আইডির সাথে এবিএইচএ-র নম্বর লিঙ্ক করতে হবে। সিজিএইচএস আইডির সাথে এবিএইচএ-র নম্বর লিঙ্কিং নিয়ে অনেক প্রশ্নই উত্থাপিত হয়েছিল। এর আগে এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সেই সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্পের বা সিজিএইচএস সুবিধাভোগীদের আইডি লিঙ্ক করাতে হবে আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য অ্যাকাউন্টের সাথে। এই আইডি লিঙ্ক করার পিছনে সরকারের কোনও উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
এই আবহে স্বাস্থ্য মন্ত্রক বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে - এবিএইচএ অ্যাকাউন্টের সাথে সিজিএইচএস রেকর্ডগুলি লিঙ্ক করা নিয়ে প্রচুর ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তবে এটি 'আধার'-এর উপর ভিত্তি করে একটি অনন্য স্বাস্থ্য আইডি। মন্ত্রক বলে যে এবিএইচএ-র প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ, আধার ভল্ট এবং অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োগ না করে সিস্টেমে 'আধার' বিবরণ সংরক্ষণ করা যাবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছিল যে এই উদ্যোগটির ফলে সিজিএইচএস সুবিধাভোগীরা তাঁদের মোবাইল ফোনেই নিজেদের স্বাস্থ্য রেকর্ড অ্যাক্সেস করতে পারবেন। যার ফলে ঘন ঘন চেক-আপে ব্যয় হওয়া অর্থ সাশ্রয় হবে। মন্ত্রকের মতে, যেখানেই স্বাস্থ্য রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে, সেখানেই আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য অ্যাকাউন্টকে প্রয়োগ করা হচ্ছে।