প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণের আগে শুক্রবার পাকিস্তান বলেছে, তারা ভারতসহ সব প্রতিবেশীর সঙ্গে 'সহযোগিতামূলক সম্পর্ক' চায়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের দাবি, তারা আলোচনার মাধ্যমে বিরোধের সমাধান চায়।
তবে পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রকে যখন প্রশ্ন করা হয়, নির্বাচনে জয়ের জন্য নরেন্দ্র মোদীকে কেন অভিনন্দন জানানো হচ্ছে না, তখন তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন।
পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালুচ এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, নিজেদের নেতৃত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ভারতবাসীর।
তিনি বলেন, ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে দেশের কোনও মন্তব্য নেই। তিনি আরও বলেন, যেহেতু ভারতে সরকার গঠন চলছে, তাই নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানানোর কথা বলা 'অপরিপক্ক'।
বিজেপি নেতারা তাদের নির্বাচনী বক্তৃতায় দেশকে উপহাস করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা বাগাড়ম্বর সত্ত্বেও পাকিস্তান দায়িত্বশীল আচরণ করছে।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
আগামীকাল নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রতিবেশী সাত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে প্রথাগত কোনো বার্তা আসেনি।
২০১৮ সালে ইমরান খানের দল পিটিআই যখন একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, তখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে মোদী তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদী।
ভারতীয় সংসদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা স্থগিত করার পরে পাকিস্তান ভারতের সাথে তার সম্পর্ক হ্রাস করেছে। নয়াদিল্লি বজায় রেখেছে যে পূর্ববর্তী রাজ্যের সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এরপরই বালাকোটে জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় নয়াদিল্লি।
নয়াদিল্লি বরাবরই বলে আসছে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চায় তবে সবটাই নির্ভর করছে তাদের মাটি থেকে উঠে আসা সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ করার ওপর।