বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Trump's Top Choice: কলকাতায় জন্ম, সেই বঙ্গ সন্তানকে বিরাট দায়িত্ব দিলেন ট্রাম্প, কে ডাঃ জয় ব্যানার্জি?
পরবর্তী খবর
এবার এক বঙ্গসন্তান আমেরিকার ন্যাশানাল ইনস্টিটিউটস অফ হেলথের ডিরেক্টর পদে বসছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করা কলকাতার অর্থনীতিবিদ জয় ভট্টাচার্যকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) পরবর্তী পরিচালক হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে, রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রকে ট্রাম্প স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের (এইচএইচএস) প্রধান হিসাবে বেছে নেওয়ার পরে ভট্টাচার্য তাকে দেখতে গিয়েছিলেন, একটি প্রধান মার্কিন স্বাস্থ্য সংস্থা যা এনআইএইচ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি পরিচালনা করে। ওয়াশিংটন পোস্ট অনুসারে, তিনি আরএফকে জুনিয়রকে এনআইএইচ পুনর্গঠনের পরিকল্পনা দিয়ে মুগ্ধ করেছিলেন, যা দেশের বায়োমেডিকাল গবেষণার দায়িত্বে রয়েছে। তবে ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিম এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস অনুসারে।
প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ এনআইএইচকে সৃজনশীল গবেষণার জন্য তহবিল বাড়াতে এবং তার দীর্ঘতম কর্মজীবনের কিছু কর্মকর্তার ক্ষমতা হ্রাস করার জন্য তার প্রচেষ্টা পুনরায় ফোকাস করার পক্ষে পরামর্শ দিয়েছেন। এনআইএইচ ওষুধ এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য অসংখ্য উদ্যোগকে স্পনসর করে, মেরিল্যান্ডে তার সাইটে ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করে এবং গবেষণা তহবিল বিতরণ করে।
ট্রাম্প, যার মাঝে মাঝে সুপারিশগুলি উপেক্ষা করার ইতিহাস রয়েছে, এনআইএইচ কে চালাবে সে সম্পর্কে শেষ কথা বলার আছে। ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিম এই পদের জন্য অন্যান্য আবেদনকারীদের বিবেচনা করেছে বলে জানা গেছে।
ডাঃ জয় ভট্টাচার্য কে?
১৯৬৮ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী জয়ন্ত 'জয়' ভট্টাচার্য ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য নীতির একজন সম্মানিত অধ্যাপক।
তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমডি এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ভট্টাচার্য স্ট্যানফোর্ডের সেন্টার ফর ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড ইকোনমিকস অফ হেলথ অ্যান্ড এজিংয়ের পরিচালক হিসাবে তাঁর ভূমিকায় অর্থনৈতিক গবেষণা এবং স্বাস্থ্য নীতির ডোমেনগুলিতে যথেষ্ট অবদান রেখেছেন।
অফিসিয়াল স্ট্যানফোর্ড ওয়েবসাইট অনুসারে, ভট্টাচার্যের গবেষণা অর্থনীতি, বায়োমেডিকাল উদ্ভাবন এবং সরকারী উদ্যোগের পারস্পরিক ক্রিয়াকে কেন্দ্র করে দুর্বলদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা পরীক্ষা করে।