বাংলাদেশ থেকে গত ৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছাড়ার পর থেকে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশাসন শেখ হাসিনাকে সেদেশে প্রত্যর্পণ ঘিরে ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা রয়েছে। সেই অবস্থায় এদিন শেখ হাসিনাকে ঘিরে এক গুরুতর অভিযোগের তথ্য এল সামনে। মুখ খুললেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনি এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগের কথা জানিয়েছেন।
রবিবার আদালতে পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের কনফারেন্স রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাজুল ইসলাম শেখ হাসিনাকে নিয়ে মুখ খোলেন। তুলে ধরেন, দেশ ছাড়ার আগে শেখ হাসিনার এক হাসপাতালে আহতদের দেখতে পরিদর্শনের কথা। তাজুল ইসলাম বলেন,' আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে চিকিৎসারত আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা আমাদের জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন।' এরই সঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন,' সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, “নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ"। অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোনও চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দেওয়া হয়েছিল।'
( Modi on Dharma: ‘ধর্মকে নিয়ে উপহাস চলছে.. দাসত্বের মানসিকতা’, কুম্ভ নিয়ে মমতা, লালুদের মন্তব্যের পর বিরোধীদের তোপ মোদীর)
( March Lucky Zodiac Signs: মার্চ পড়তেই অনেকের ভাগ্য পাল্টে দিতে পারেন শুক্র! বক্রী অবস্থায় কৃপা করবেন কাদের?)
এই বিষয়ে ওই হাসপাতালে তৎকালীন সময়ে ভর্তি থাকা রোগী ও তাঁদের পরিজন এবং চিকিৎসকরাও এই বিষয়ে তাঁদের জানিয়েছেন বলে জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি।'তিনি বলেন,'' তাঁর বিস্ফোরক দাবি, গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে মারা গেলেও অনেকের ডেথ সার্টিফিকেটে গুলিতে মারা যাওয়ার কথাটি লিখতে দেয়া হয়নি। শ্বাসকষ্ট বা জ্বরে মারা গেছে এমন কথা লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁর দাবি, জুলাই-অগস্ট আন্দোলনে বহু জনের মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, আন্দোলনে মৃতদের দেহর দ্রুত সৎকারের জন্য বাধ্য করা হয়।