সম্প্রতি তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে একটি খুবই অদ্ভুত ঘটনা সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, তিরুচিরাপল্লীর একটি পুরো গ্রামের মালিকানার দাবি জানিয়েছে মুসলিম ওয়াকফ বোর্ড। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক স্থানীয় ব্যক্তি তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই ওয়াকফ বোর্ডের এই মালিকানার বিষয়টি সামনে আসে। রিপোর্ট অনুসারে, এন রাজাগোপাল তিরুচিরাপল্লি জেলার থিরুচেন্দুরাই গ্রামে তাঁর কৃষি জমি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে বলা হয় যে তাঁর মালিকানাধীন ১.২ একর জমি আজতে তামিলনাড়ু ওয়াকফ বোর্ডের মালিকানাধীন। এই আবহে তাঁকে জমি বিক্রি করতে হলে বোর্ড থেকে একটি ‘অনাপত্তি শংসাপত্র’ (এনওসি) পেতে হবে। উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লি জেলার কাবেরী নদীর তীরে অবস্থিত এই তিরুচেনথুরাই গ্রাম।অনুসন্ধানে জানা যায় যে তিরুচেন্দুরাইয়ের পুরো গ্রামটি ওয়াকফ বোর্ডের অন্তর্গত। মজার বিষয় হল, গ্রামটি হিন্দু অধ্যুষিত। কিন্তু উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই এখানে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে। স্থানীয় মিডিয়াকে রাজাগোপাল বলেন যে তিনি ১৯৯৬ সালে গ্রামে জমি কিনেছিলেন। তখন সেটা ওয়াকফ বোর্ডের জমি ছিল না। এদিকে বর্তমানে ওয়াকফ বোর্ড পুরো গ্রামের 'মালিক' হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাদের জমি বিক্রি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। এই আবহে মঙ্গলবার গ্রামবাসীরা বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করলেও অচলাবস্থার কোনও সমাধান হয়নি।রাজাগোপাল মিডিয়াকে বলেছেন যে তাঁর কাছে জমির সমস্ত নথি ছিল আছে। কিন্তু যখন তিনি সেই জমি বিক্রি করতে চান, তখন রেজিস্ট্রার তাকে বলেন যে জমিটি ওয়াকফ বোর্ডের এবং তাঁকে এটি বিক্রি করতে বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে। রাজাগোপাল জোর দিয়ে বলেন যে তিনি তাঁর মেয়ের বিয়ের জন্য জমি বিক্রি করতে চান। কারণ তাঁর কাছে টাকা না থাকায় বিয়ে আটকে আছে। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। আমি অসুস্থ।’ এন রাজাগোপাল জানান, এর আগে গ্রামের কেউ এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। তিনি জানান যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি এই বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন।