এই বছর হোলি ১৪ মার্চ, শুক্রবার। এই আবহে সেদিন জুম্মার নমাজ নিয়ে মুসলিমদের 'সতর্কবার্তা' দিয়ে বিতর্কে উত্তরপ্রদেশের এক পুলিশ অফিসার। বৃহস্পতিবার সম্ভলের এক পুলিশ অফিসার স্থানীয় মুসলিমদের বলেছিলেন যে হোলির রঙে অস্বস্তি থাকলে তারা যেন বাড়ির ভিতরে থাকেন। পুলিশ আধিকারিকের কথায়, রঙের উৎসবটি বছরে একবারই আসে, আর জুম্মার নমাজ বছরে ৫২ বার। পুলিশ আধিকারিকের এহেন মন্তব্য ঘিরে এবার জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলির সমালোচনায় মুখর হয়েছে সরকারের। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ আধিকারিকের এই মন্তব্যে 'পক্ষপাত' প্রতিফলিত হচ্ছে। এই আবহে সেই অফিসারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। (আরও পড়ুন: চলতি বছরে ১০.২ বিলিয়ন হারিয়েও ধনকুবেরদের তালিকায় ২১-এ আদানি, আম্বানির হাল কী?)
আরও পড়ুন: শরীরের কোথায় লুকিয়ে সোনা পাচার করত রানিয়া? চোখ কপালে তোলা তথ্য এল সামনে
উল্লেখ্য, পবিত্র রমজান মাসে শুক্রবারের প্রার্থনার আবহে হোলি উৎসব অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই আবহে বৃহস্পতিবার সম্ভল কোতোয়ালি থানায় একটি শান্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সম্ভল সার্কেল অফিসার (সিও) অনুজ চৌধুরী বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের বলেন, 'হোলি এমন একটি উতৎসব যা বছরে একবার আসে, যেখানে শুক্রবারের প্রার্থনা বছরে ৫২ বার হয়। যদি কেউ হোলির রঙে অস্বস্তি বোধ করেন তবে তাদের সেই দিন বাড়ির ভিতরেই থাকা উচিত। যারা বাইরে বের হয় তাদের খোলা মন থাকা উচিত, কারণ উৎসবগুলি একসাথে উদযাপন করা হয়।' (আরও পড়ুন: হাসিনার জন্যে চাপে পড়া ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা জশংকরের)
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ ফরেন সার্ভিস অফিসারের, মৃত্যুর তদন্তে পুলিশ
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে। সেখানে এই গোটা পরিস্থিতির নেপথ্যে আছে এক মসজিদ। প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের ২৪ নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের সম্ভল এলাকায় নতুন করে শাহি জামা মসজিদের সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়। আদালতের নির্দেশেই মুঘল জমানার এই মসজিদে সমীক্ষা চালানো হচ্ছিল। সমীক্ষা চলাকালীন যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশের বিরাট বাহিনী এবং ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে। তবে পুলিশ নিয়ে সমীক্ষকরা সেই এলাকায় পৌঁছতেই উত্তেজনাছড়িয়ে পড়ে। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ। আর মুহূর্তে হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছুড়তে শুরু করে স্থানীয়রা। একের পর এক গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। সেই সময় হামলাকারীদের কেউ কেউ গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। সংঘর্ষে মোট ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। (আরও পড়ুন: PoK চুরি নিয়ে জয়শংকরের ফোড়নে তীব্র বদহজম পাকিস্তানের, ঢেকুর তুলে বলল...)