ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের আগে, টিম ইন্ডিয়া তাদের প্রস্তুতি জোরদার করার জন্য একটি আন্তঃস্কোয়াড ম্যাচ খেলেছিল। এই ম্যাচে ভারতীয় ‘এ’ দল এবং ভারতীয় সিনিয়র দলের খেলোয়াড়রা অংশ নিয়েছিলেন। যেখানে তারকা অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুর তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য পরিচিত শার্দুল ঠাকুর তাঁর ব্যাটিং দিয়ে এই ম্যাচটি কাঁপিয়ে দিয়েছেন।
শার্দুল ঠাকুর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন
শার্দুল ঠাকুর ব্যাট হাতে নিজের ছাপ রেখে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি ১২২ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছেন। তাঁর এই ইনিংসটি ছিল জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিধ কৃষ্ণ এবং অর্শদীপ সিং-এর মতো বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে। শার্দুলের এই পারফরম্যান্স শুধু দলের জন্যই নয়, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন চ্যালেঞ্জের জন্যও ইতিবাচক লক্ষণ। একই সঙ্গে, এই সেঞ্চুরি করে শার্দুল ঠাকুরও তাঁর দলে ঢোকার দাবি আরও জোরালো করেছেন। ২০২৩ সাল থেকে ভারতীয় দলের হয়ে কোনও টেস্ট ম্যাচ খেলেননি শার্দুল ঠাকুর। তবে ইংল্যান্ডে, তিনি দলের জন্য বড় ম্যাচ উইনার হতে পারেন। এই ইনিংসের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার তাঁর দাবি আরও শক্তিশালী করেছেন।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে শার্দুল ঠাকুর ১০ বলে ১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এর পর খেলার শেষ দিনে তিনি তাঁর ইনিংস আরও দীর্ঘ করেন এবং সমস্ত বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করেন এবং দুরন্ত একটি সেঞ্চুরি হাঁকান। তাঁর অপরাজিত ইনিংস প্রমাণ করেছে যে, তিনি কেবল বোলিংয়েই নয়, ব্যাটিংয়েও দলের জন্য কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারেন। শার্দুলের এই পারফরম্যান্স ইঙ্গিত দেয় যে, অধিনায়ক এবং কোচিং স্টাফেরা তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করতে পারেন। বিশেষ করে ইংল্যান্ডের পিচে, যেখানে অতিরিক্ত ব্যাটিং গভীরতার প্রয়োজন, ঠাকুরের এই ইনিংসটি দলের জন্য স্বস্তির খবর।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য এখন বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে। নীতিশ কুমার রেড্ডি এবং শার্দুলের মধ্যে কাকে নির্বাচন করবেন- তা নিয়েই বেশ টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে শার্দুলকে সুযোগ পাননি। যদিও নীতিশ কুমার রেড্ডি পাঁচটি টেস্টই খেলেছিলেন। মেলবোর্ন টেস্টে তিনি সেঞ্চুরিও করেছিলেন। তবে বল হাতে তাঁর প্রত্যাবর্তন কাঙ্ক্ষিত ছিল না।
আন্তঃস্কোয়াড ম্যাচ বাতিল
টিম ইন্ডিয়া এবং ভারতীয় ‘এ’ দলের মধ্যে খেলাটি তৃতীয় দিনের মাঝপথে বাতিল করে দেয় কর্তৃপক্ষ। খেলাটি ১৬ জুন, সোমবার পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে, আড়াই দিন পর খেলাটি বাতিল ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। প্রায় আটটি সেশনের খেলা শেষ হয়েছিল। ভারতের হয়ে, কেএল রাহুল এবং শুভমন গিল ব্যাট হাতে মুগ্ধ করেন। এই জুটি অর্ধশতরান করে ভারতকে ৪৬৯ রানের বিশাল স্কোর করতে সাহায্য করেন।
এদিকে ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে, সরফরাজ অসাধারণ পারফর্ম করেন, ৭৬ বলে ১০১ রান করেন তিনি। তবে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের মূল দলে তাঁকে স্থান দেওয়া হয়নি। এদিকে, জসপ্রীত বুমরাহ উইকেট পাননি। তবে মহম্মদ সিরাজ এবং প্রসিধ কৃষ্ণ দু'টি করে উইকেট নিয়েছেন। নীতিশ কুমার রেড্ডিও একটি উইকেট পেয়েছেন। ভারতীয় দল এখন ১৭ জুন, মঙ্গলবার হেডিংলের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। প্রথম টেস্ট ২০ জুন লিডসের হেডিংলেতে শুরু হবে।