ক্রাইমিয়া থেকে আসা রুশ বাহিনী আগেই ঘিরে ফেলেছিল খেরসনকে। এবার শহরটি পুরোপুরি দখল করে নিল রুশ সেনা। শহরটি ডিনিপার নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এই শহরের কৌশলগত গুরুত্ব অনেক। নদী বন্দর হওয়ায় খেরসন থেকে দ্রুত ইউক্রেনের অভ্যন্তরে সেনা বা সরঞ্জাম পাঠাতে পারবে রাশিয়া। খেরসনের রেল স্টেশনে রুশ বাহিনীর দখলে এসেছে। এই আবহে বিদেশ থেকে ইউক্রেনের জন্য আসা ত্রাণ সামগ্রীও ঠেকাতে পারবে রাশিয়া।
এদিকে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রাইমিয়ান উপদ্বীপ রক্ষার জন্য খেরসন অত্যন্ত কৌশলগত শহর। শহরটিতে একসময় রাশিয়ান ব্ল্যাক সি ফ্লিটের ঘাঁটি ছিল। এই শহর দখল করায় রাশিয়ার পশ্চিমে অবস্থিত ওডেসার আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেল। ওডেসা পর্যন্ত পথ খুলে গেল এবার রুশ সেনার জন্য। উল্লেখ্য, ওডেসায় বেশিরভাগ মানুষই রুশ-ভাষী। এই আবহে ওডেসাকে রাশিয়া নিজের দেশএর অন্তর্ভুক্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা। এদিকে ন্যাটো-সদস্য রোমানিয়া এবং মোলদোভার সাথে সীমান্ত রয়েছে এর। তাই ওডেসা রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান হতে পারে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় এদিন ভোরেই খেরসন শহরের দখল নেয় রুশ সেনা। খেরসনের পতনের খবর নিশ্চিত করা হয় ইউক্রেন সরকারের তরফেও। এদিকে দক্ষিণে রুশ সেনার বড় সাফল্য পেলেও উত্তরে খারকিভ ও কিয়েভে জোরদার লড়াই এখনও জারি রয়েছে। কিয়েভ ঘিরে কয়েক কিলোমিটার লম্বা রাশিয়ার সামরিক বহর। এরই মাঝে খারকিভে আজকে প্যারাট্রুপার নামিয়েছে রুশ বাহিনী। এদিকে রাজধানী কিয়েভে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।