দ্রৌপদী মুর্মুকে বেচারি বলেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। আর তা নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দেওয়া হল। শুক্রবার বিকেলের দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন যে মন্তব্য করেছেন, তা নিম্নরুচির। এরকম মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতির মর্যাদাহানি হয়। সেইসঙ্গে টিপ্পনির সুরে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে বলা হয়েছে, 'রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বিশ্বাস করে যে ওই সমস্ত নেতারা হয়তো হিন্দির মতো ভারতীয় ভাষার বাগধারা এবং বক্তৃতার ধরনের সঙ্গে নিজেদের পরিচিত করে তুলতে পারেননি। তাই একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হয়েছে। যাই হোক না কেন, এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত নিম্নরুচির, দুর্ভাগ্যজনক। যা সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত।'
সোনিয়ার ‘বেচারি’ মন্তব্য নিয়ে তরজা
আর রাষ্ট্রপতি ভবনের সেই প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছে সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে সোনিয়ার মন্তব্যের পরে। আজ যৌথ অধিবেশনের রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন বলেন, '(ভাষণের) শেষের দিকে রাষ্ট্রপতি খুব ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিলেন। উনি কার্যত কথা বলতে পারছিলেন না। বেচারি।'
সেই মন্তব্য নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা বলেন, ‘ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুজির ক্ষেত্রে সোনিয়া গান্ধী যে বেচারি মন্তব্য করেছেন, সেটার তীব্র সমালোচনা করছি আমি এবং প্রত্যেক বিজেপি কর্মী। ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের মন্তব্যের মাধ্যমে কংগ্রেসের অভিজাত, গরিব-বিরোধী এবং আদিবাসী-বিরোধী স্বভাব ফুটে উঠেছে।’
'মায়ের বয়স ৭৮…', সোনিয়ার মন্তব্য নিয়ে প্রিয়াঙ্কা
পালটা সোনিয়ার মেয়ে তথা কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা দাবি করেন, তাঁর মা সবসময় রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘আমার মা একজন ৭৮ বছরের মহিলা। উনি শুধু বলেছেন যে এত বড় ভাষণ পড়ার পরে রাষ্ট্রপতি নিশ্চয়ই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন। বেচারি। উনি রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করেন। আসলে ওঁর প্রতি চূড়ান্ত শ্রদ্ধা আছে (মায়ের)। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে মিডিয়া এরকম একটি বিষয়কে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে দেখাচ্ছে।’
সোনিয়া অসত্য বলছেন, দাবি রাষ্ট্রপতি ভবনের
আর সেই রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি ভবন এটা পরিষ্কার করে বলে দিতে চায় যে এটার থেকে অসত্য কিছু হতে পারে না। কখনওই উনি ক্লান্ত হয়ে পড়েননি। প্রকৃতপক্ষে উনি বিশ্বাস করেন যে প্রান্তিক সম্প্রদায়, মহিলা এবং কৃষকদের হয়ে কথা বলার বিষয়টি কখনও ক্লান্তিকর হয় না। যে কাজটা তিনি ভাষণের সময় করছিলেন।’