এনকাউন্টারে দুষ্কৃতীকে খতম করেছিল পুলিশ। সেই নিহত অপরাধীর মেয়ের বিয়ে দিয়েই নজির গড়ল পুলিশ। ধুমধাম করে আয়োজন করা হল বিয়ের অনুষ্ঠান। কোনও রকমের খামতি রাখা হয়নি সেই অনুষ্ঠানে। খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে উপহার সব ব্যবস্থাই করেছিল পুলিশ। এরকমই ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের জালাউন। এই বিয়েতে পুলিশ একবারে ‘কন্যাদায়গ্রস্ত’ পিতার ভূমিকা পালন করে।
আরও পড়ুনঃ সরকারি সুবিধা পেতে হবে তো! তাই তড়িঘড়ি জামাইবাবুকেই বিয়ে করলেন মহিলা
জানা গিয়েছে, জালাউনের কোতোয়ালি এলাকায় ২০২৩ সালের মে মাসে হাইওয়েতে কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল ভেদজিৎ সিংকে শিরচ্ছেদ করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল রমেশ রাইকওয়ারের বিরুদ্ধে। কনস্টেবল খুনের ৪ দিনের মাথায় পুলিশ রমেশ এবং কাল্লু নামে দুই অপরাধীকে এনকাউন্টারে খতম করে। এদিকে, রমেশ অত্যন্ত দরিদ্র হওয়ায় তার দুই মেয়ের ও এক ছেলের ভরণপোষণের যাবতীয় দায়িত্ব নেয় জালাউন পুলিশ। শনিবার সেই রমেশের বড় মেয়ে শিবানী রাইয়ের ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছে জালাউন পুলিশ। জানা গিয়েছে, তৎকালীন কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ শিব কুমার রাঠোর এনকাউন্টারের পর রমেশের মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেইমতোই কাজ করল পুলিশ।
শিবানীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল ২ মার্চ। শিব কুমার রাঠোর এবং জালাউন পুলিশ বিয়ের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিল। শিব কুমার রাঠোর বর্তমানে ঝাঁসি জেলার প্রেম নগর থানার ইনচার্জ। তিনি বিয়ের জন্য জানকী প্যালেস ভাড়া করেন। বিয়ের বরযাত্রীকে স্বাগত জানানো থেকে শুরু করে এলাহী খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করে পুলিশ। শুধু তাই নয় শিবানীর বিয়েতে উপহারের ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। তাকে টিভি, ফ্রিজসহ অনেক উপহারও দেওয়া হয়েছে।