তিন বছরের মেয়ে এবং এক বছরের ছেলেকে কুয়ো ফেলে মেরে ফেলল মা। এমনকী নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি জেলায়। স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর ঝগড়া–ঝামেলা চরম আকারে পৌঁছতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বধূ। এই ঘটনা প্রকাশ্য আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন। এই নিয়ে জোর চর্চাও শুরু হয় সেখানে। তবে অবশেষে গৃহবধূ বেঁচে গেলে তাঁর নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। সুতরাং সুস্থ হয়ে ওঠার পর সন্তান হারানোর বেদনা নিয়ে জেলে থাকতে হবে বধূকে।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, এই গৃহবধূর নাম ডি সারান্ন। তিনিই প্রথমে ছেলে–মেয়েকে কুয়োর জলে ছুড়ে ফেলে দেন। তারপর সেখানে নিজে ঝাঁপ দেন। কিন্তু সাঁতার জানায় অবশেষে তিনি বেঁচে যান। তড়িঘড়ি তাঁকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু এখনও ওই গৃহবধূ অসুস্থ থাকায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি। অথচ জেনে গিয়েছেন ছেলে মেয়ে কেউ বেঁচে নেই। সুতরাং শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। কেন একজন গৃহবধূ এমন কাজ করলেন? উঠছে প্রশ্ন। তবে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া চলাকালীন স্ত্রীকে চড় মারেন স্বামী। এই ঘটনার পরই ওই গৃহবধূ ডি সারান্ন একটি হাইটেনশন বিদ্যুৎ টাওয়ারে উঠে পড়েন। ছেলে মেয়েকে কুয়োয় ফেলে তিনি এই কাজ করেন। আর তাতেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান বধূ। এমনকী খুব চোট লেগেছে তাঁর। এই অবস্থায় মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে খবর আসে বধূ জীবিত। তবে মারাত্মক শরীর খারাপ। চোট আছে শরীরে। পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে। এখনও পর্যবেক্ষণে রাখতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শীতের সকালেই ইডি’র জোরকদমে অভিযান, জামিনে মুক্ত প্রসন্নর বাড়ি–সহ ৬ জায়গায় তল্লাশি
এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে যা জানা যাচ্ছে সেটি হল—ডি সারান্ন এবং এম দেবেনদিরান স্বামী–স্ত্রী। দেবেনদিরান অটো চালক পেশায়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে তুচ্ছ, মামুলি বিষয়ে ঝগড়া প্রায়ই লেগে থাকত। মঙ্গলবার স্বামী গরম জল চান স্নান করার জন্য স্ত্রীর কাছে। কিন্তু স্ত্রী তাতে গুরুত্ব দেননি। তখন স্ত্রীকে সপাটে চড় মারেন স্বামী এবং বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেন বলে অভিযোগ। তখন সারান্ন নিজের বাপের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন কেউ নেই। সবাই কাজে বেরিয়ে গিয়েছেন। তখন নিজেকে এবং ছেলে মেয়কে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।