এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দায়ের করা আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় জামিন পেলেন পি চিদম্বরম। আজ তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, "গুরুতর অপরাধের আওতায় পড়ে আর্থিক তছরুপ। কিন্তু, সব আর্থিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে জামিন নাকচ করা উচিত নয়।"
২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকা তহবিলের জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন চিদম্বরম। এই অভিযোগে গত ২১ অগস্ট প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের পর ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানো হয়। ২০ সেপ্টেম্বর চিদম্বরমকে ১৪ দিনের জন্য ফের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় আদালত। ২২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দিলেও ৬দিন আগেই একই মামলায় চিদম্বরমকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ফলে তখন থেকেই তিহাড়েই কাটাতে হচ্ছিল চিদম্বরমকে। এরইমধ্যে একাধিকবার তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেছে। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন চিদম্বরম। বিচারপতি আর ভানুমতীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জামিনের আর্জি শুনছিল। আজ চিদম্বরমের জামিনের আর্জি মঞ্জুর করে বেঞ্চ।
আরও পড়ুন : ছাড়া পেলে সমাজে ভুল বার্তা যাবে, চিদম্বরমের জামিনের আর্জি খারিজে যুক্তি হাইকোর্টের
জামিন পেলেও চিদম্বরমকে একাধিক শর্ত মেনে চলতে হবে। বিশেষ আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে দেশে যেতে পারবেন না তিনি। তদন্তে সহযোগিতা করারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, এই মামলা নিয়ে জনসমক্ষে কোনও মন্তব্য করা বা সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়া থেকেও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে বিরত থাকতে বলেছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি আদালতের কড়া নির্দেশ, চিদম্বরম যেন তথ্যপ্রমাণ বিকৃত বা সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা না করেন।
আরও পড়ুন : 'যেন রঙ্গা-বিল্লা', হাইকোর্টে জামিনের আর্জি খারিজ নিয়ে বললেন চিদম্বরমের কৌঁসুলি
তবে জেল থেকে বেরোতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে চিদম্বরমকে। তিহাড় জেলের ডিজি সন্দীপ গোয়েল জানান, নিম্ন আদালতে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর জামিনের বন্ড ও অর্থ জমা দেওয়া হবে। সেইমতো জেল থেকে ছাড়ার নির্দেশ দেবে আদালত। তারপরই তিহাড়ের বাইরে আসতে পারবেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট মহলের মত, সব কাজ মিটিয়ে বাইরে বেরোতে দুপুর-বিকেল গড়িয়ে যাবে।