চাতরা সিভিল কোর্টে পিওনের চাকরির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সেমতো পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরীক্ষায় পাশ করার পর ইন্টারভিউয় দিয়েছেন মুকেশ কুমার। তাঁকে এই পদে নিয়োগের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই পদে মোট ১৯ জনকে নিয়োগ করা হবে তার মধ্যে ১৩ নম্বরে রয়েছেন মুকেশ।
ঝাড়খণ্ডের শ্রম মন্ত্রী সত্যানন্দ ভোক্তা। বাঁদিকে
বাবা একটি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। সেই হিসেবে একাধিক সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে ছেলের। আর সেই সঙ্গে রয়েছে রাজনীতির পথে চলার সুযোগ। কিন্তু বাবার দেখানো পথে হাঁটতে রাজি নন ছেলে। তাই রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে পরিবারের বিরোধিতা সত্ত্বেও পিওনের চাকরির জন্য আবেদন করলেন মন্ত্রীর ছেলে। শেষ পর্যন্ত তিনি চাকরিতে নির্বাচিত হয়েছেন। এমন ঘটনা প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের। রাজ্যের শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রী তথা আরজেডি বিধায়ক সত্যানন্দ ভোক্তার ছেলে মুকেশ কুমার পিওনের চাকরিতে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়টি প্রকাশে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। আর সেই সঙ্গে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জানা গিয়েছে, চাতরা সিভিল কোর্টে পিওনের চাকরির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। সেমতো পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পরীক্ষায় পাশ করার পর ইন্টারভিউয় দিয়েছেন মুকেশ কুমার। তাঁকে এই পদে নিয়োগের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই পদে মোট ১৯ জনকে নিয়োগ করা হবে তার মধ্যে ১৩ নম্বরে রয়েছেন মুকেশ। এসটি কোটায় তিনি এই পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মন্ত্রীর ছেলে ছাড়াও এই পদে আবেদন করেছিলেন তাঁর ভাগ্নে রামদেব ভোক্তা। অপেক্ষমাণ তালিকায় রয়েছে তার নাম। নির্বাচিত ১৯ জনের মধ্যে কেউ যোগ না দিলে অপেক্ষমাণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীরা তাদের জায়গায় সুযোগ পাবেন।
কী বলছেন মন্ত্রিপূত্র?
মুকেশ বলেন, ‘পিওনের চাকরি নিতে দোষের কিছু নেই। যোগদানের তারিখ জানানো হলে আমি চাকরিটি গ্রহণ করব।’ উল্লেখ্য, মুকেশ কলা বিভাগের স্নাতক। উল্লেখ্য, মন্ত্রীপুত্র মুকেশ ভোক্তার ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল গত বছর। বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন নিজেই। মন্ত্রীর ছেলের চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চলছে জোর চর্চা। সত্যানন্দ ভোক্তা চাতরা বিধানসভা আসনের আরজেডি বিধায়ক। ২০১৯ সালে রাজ্যের হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারে তাঁকে এই বিভাগের মন্ত্রী করা হয়েছিল। ভোক্তা এখনও পর্যন্ত তিনবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং তৃতীয়বার মন্ত্রীও হয়েছেন। আরজেডির আগে তিনি বিজেপি এবং ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চাতে ছিলেন।