সাপের কামড়ে বছরে প্রায় ৫৮ হাজার ভারতীয়র মৃত্যু হয়। এমনটাই বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পরিসংখ্যান। বাস্তবে সংখ্যাটা এর দ্বিগুণও হতে পারে। কিন্তু কত জন সবচেয়ে কমন সাপের জাতগুলো চেনেন? সাপ কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে কী করতে হবে তা কে কে জানেন? সংখ্যাটা হাতে গোনা।
সাপের বিষয়ে রাজ্যবাসীকে সচেতন করতেই বছর কয়েক আগে 'অবিলম্বে' বলে একটি অ্যাপ এনেছিল পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু নামের কারণেই হোক, বা প্রচারের অভাব, কোনওদিনই সেভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি এই অ্যাপ।
সেই অ্যাপেরই আপডেটেড ভার্সান আনার বিষয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে এবারে জোর দেওয়া হবে প্রচারে, এমনটাই খবর ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে।
নতুন অ্যাপের নামও বদলে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। নামকরণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
তাছাড়া আগের অ্যাপে তথ্য যথেষ্ট হলেও ইউআই মোটেও আকর্ষণীয় ছিল না। ফলে এবার সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। রাখা হবে বিভিন্ন সেকশন।
স্নেক লাইব্রেরি : পশ্চিমবঙ্গে যে সাপগুলি দেখা যায়, তাদের প্রত্যেকের ছবি, তথ্য ইত্যাদি থাকবে। কোন সাপে কামড়ালে কী উপসর্গ, তাও থাকবে এই তালিকায়।
স্নেক রেসকিউয়ার : অনেক সময়েই লোকালয়ে, বাড়িতে, বাগানে, ক্ষেতে বিষধর সাপ ঢুকে পড়ে। তাই নিয়ে হইচই বেঁধে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই মেরে ফেলা হয়। অভিযোগ করা হয় বন দফতরে জানিয়ে লাভ হয়নি।
কিন্তু মনে রাখবেন, অনেক বড় সাপ ছোট আকারের সাপ খেয়ে তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে আখেরে বাড়বে বিপদ। তাছাড়া ইঁদুরের সংখ্যাও নিয়ন্ত্রণ করে সাপ।
এর সমাধানেই অ্যাপে প্রতিটি জেলায় যাঁরা সাপ ধরার কাজ করেন, তাঁদের যোগাযোগ নম্বর মিলবে।
ফার্স এইড : সাপ কামড়ানোর পর প্রথম ১০০ মিনিট জীবন-মরণের পার্থক্য করে দেয়। তাই হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত সঠিক প্রাথমিক চিকিত্সার পদ্ধতি থাকবে এই অ্যাপে। তাছাড়া বাঁধন-মুখ দিয়ে টানার মতো ভুল ধারণা, ওঝার কাছে সময় নষ্ট এড়ানোর বিষয়ে সচেতনতাও থাকবে এই অ্যাপে।
অ্যাপের লিঙ্ক (গুগল প্লে স্টোর):