উত্তেজনার মধ্যেই কিছুটা 'নরম' বার্তা দিল চিন। জানাল, ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতি 'মোটের উপর স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে'। একইসঙ্গে কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের ইঙ্গিতও দিয়েছে বেজিং।দুই প্রতিবেশী দেশের দ্বন্দ্ব নিয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে বুধবার চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, 'আমার মনে হয়, আমরা সীমান্ত-সংক্রান্ত কৌশল এবং কূটনৈতিক উপায় স্থাপন করেছি। তার মধ্যে রয়েছে সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে যোগাযোগ এবং আমাদের কূটনৈতিক মহলের যোগাযোগ।' তিনি দাবি করেন, আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয় সমাধানের বিষয়ের ক্ষেত্রে দক্ষ দু'দেশই।প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ৫,০০০-এরও বেশি সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিতে ভোলেননি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে 'গুরুত্বপূর্ণ ঐক্যমত'-এ পৌঁছেছিলেন এবং দু'দেশের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, তা 'কঠোরভাবে পালন করছে' বেজিং।একইসঙ্গে 'সৌভ্রাতৃত্ব'-এর বার্তার মধ্যেও চিন যে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবে, সেই ইঙ্গিতও দেন ঝাও। তিনি বলেন, 'আমরা ভূ-খণ্ডের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা। এখন চিন-ভারতের সীমান্ত পরিস্থিতি মোটের উপর স্থিতিশীল এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে।'এদিকে, ভারত-চিনা সীমান্ত দ্বন্দ্ব নিয়ে ইতিমধ্যে জাতীয়তাবাদের পালে হাওয়া দিচ্ছে বিজেপি। সংঘাতের পরিস্থিতি সংক্রান্ত একটি প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, ‘কোনও দেশ নরেন্দ্র মোদীর ভারতকে চোখ দেখাতে পারবে না।’