গত ৫ অগস্ট, ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের জেরে বাংলাদেশ রাতারাতি ছেড়ে চলে যান বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাসিনা সরকারের পতনের পরই ঢাকায় আসে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। আর সেই সরকারের আমলে সদ্য জনতার বিক্ষোভের মুখে গুঁড়িয়ে গিয়েছে শেখ মুজিবর রহমানের 'ধানমন্ডি ৩২' বাসভবন। এবার বাংলাদেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নামকরণ থেকেও মুছে গেল শেখ হাসিনার নাম।
সোমবার ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির ১৮ তম বোর্ড মিটিং। সেই মিটিং-এই স্থির হয়েছে ঢাকার পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের নাম বদল হবে। আর নতুন স্টেডিয়ামের নাম হল, ন্যাশনাল ক্রিকেট গ্রাউন্ড। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বুকে হাসিনা বিরোধিতার সুর ক্রমেই চড়া হয়েছে। বর্তমানে সেই আঁচ গিয়ে পড়েছে জাতীয় স্টেডিয়ামের নামকরণেও। আর তারপরই বাংলাদেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম বদলের ঘোষণা আসে। সোমবার বিসিবি সভার পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ।
( Trump on Putin amid Criticism: ‘পুতিনকে নিয়ে আমাদের একটু কম ভাবলেও হবে’, সমালোচনার মাঝে জবাব ট্রাম্পের)
( Modi shares his Photography in Gir: গাড়ির সামনেই গির-এর সিংহ, ছবি তুলে নিলেন মোদী! কেমন হল ফটোগ্রাফি? পোস্ট শেয়ার PMর)
বাংলাদেশের পূর্বাচলের এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠের সঙ্গে একটি পাঁচ তারা হোটেল করার কথা ছিল। এখানেই শেষ নয়। সুইমিং পুল, জিম, প্যাভিলিয়ন এবং মিডিয়া সেন্টারও করার কথা ছিল। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সেদেশের ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির দায়িত্ব নেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ও নির্বাচক ফারুক আহমেদ। ফারুক দায়িত্ব নিতেই স্টেডিয়ামের নাম বদলের আঁচ দিয়েছিলেন আগেই। এবার তা নিয়ে এল আনুষ্ঠানিক বার্তা। এরপর স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল করা হয়। এই স্টেডিয়ামের জন্য আগের হাসিনা আমলের তৎকালীন বোর্ড সরকারের কাছ থেকে পূর্বাচলে নামমাত্র মূল্যে সাড়ে ৩৭ একর জমি পায়। সেই জায়গাতেই পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স গড়ে তোলার কথা ছিল।