রাঁচি থেকে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল বিমানটি। আর সেই বিমানেই ছিল এক শিশু। যার হৃদপিণ্ডের সমস্য়া রয়েছে। আচমকাই বিমান যখন মাঝ আকাশে তখন তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। তবে তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এটা জানতে পেরেই দুই সহযাত্রী এগিয়ে আসেন। দুজনেই চিকিৎসক। ওই শিশুটিকে দিল্লি এইমসে চিকিৎসার জন্য় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
সহযাত্রীর মধ্য়ে একজন হলেন ডাঃ নীতীন কুলকার্নি। তিনি আইএএস। অপরজন হলেন রাঁচি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক। শিশুটি যখন ছটফট করছে, আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পড়ছে তখন দ্রুত এগিয়ে আসেন দুজনেই। তাঁরা অক্সিজেন মাস্ক দিয়ে শিশুটিকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওষুধও দেওয়া হয়।
ঘণ্টা খানেক পরে বিমানটি দিল্লিতে নামে। এরপর তার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সাপোর্টের ব্যবস্থা করা হয়।
সূত্রের খবর, ইন্ডিগোর ফ্লাইটটি যখন মাঝ আকাশে তখন ঘোষণা করা হয় বিমানে কেউ কি চিকিৎসক আছেন? এরপরই দ্রুত ওই দুই চিকিৎসক সহায়তায় এগিয়ে আসেন।
ডাঃ নীতীন কুলকার্নি বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। অপরজন হলেন মোজাম্মিল ফিরোজ। তিনি রাঁচির সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক।
ডাঃ কুলকার্নি জানিয়েছেন, শিশুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তার মা খুব কাঁদছিল। সেই সময় আমি ও ডাঃ মোজাম্মিল যাই। একটা প্রাপ্তবয়স্কদের মাস্ক দিয়েই অক্সিজেন দেওয়া হয়। কোনও বেবি মাস্ক পাওয়া যায়নি। ওরা এইমসে যাচ্ছিল। শিশুটির হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে।
বাবা মায়ের কাছে ইঞ্জেকশন ছিল। সেটা ভালোই কাজ করেছে। ইঞ্জেকশন ও অক্সিজেন দেওয়ার পরে শিশুটি কিছুটা সুস্থ হয়। কিন্তু প্রথম ১৫-২০ মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
শেষ পর্যন্ত শিশুটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তার চোখ আবার স্বাভাবিক হয়।
ডাঃ কুলকার্নি জানিয়েছেন পুরোপুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ল্যান্ডিংয়ের আবেদন করেছিলাম। তবে এক ঘণ্টায় যে চেষ্টা চালিয়েছি তা যে সফল হয়েছে তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি।
একজন যাত্রী এক্স হ্য়ান্ডেলে লিখেছেন, ভগবান ওই চিকিৎসকদের পাঠিয়েছিলেন। ৬ মাসের শিশুকে যেভাবে সুস্থ করে তুললেন ওরা তার তুলনা হয় না।