কলকাতায় রাস্তায় মাঝেমধ্যে দেখা যায় দামী গাড়ি। অনেকের কাছে এই দামী গাড়ি মানেই স্ট্যাটাস সিম্বল। গ্যারাজ থেকে যখন বের করা হয় তখন পাড়ার লোক ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেন। আবার রাস্তা দিয়ে যখন যায় তখন চোখ গোল গোল হয়ে যায় অনেকেরই। অডি, মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, পোর্সে, ল্যাম্বরগিনি, ল্যান্ড রোভার। একেবারে দামী দামী সব গাড়ি।
কিন্তু এই সব গাড়ির জন্যও রোড ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, এই ধরনের দামী গাড়ির যারা মালিক তাদের অনেকেরই রোড ট্য়াক্স আপ টু ডেট করা নেই। সেই তালিকায় বহু নামী মানুষও রয়েছেন। দামী গাড়ি চাপছেন অথচ রোড ট্যাক্স দিতে অনীহা বহু নামী মানুষের।
এদিকে সূত্রের খবর, কেবলমাত্র কলকাতা শহরে ২০ লাখ টাকার বেশি দাম এমন দামী গাড়ির রোড ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা।
এদিকে এই বকেয়া কর আদায়ের জন্য় নানা চেষ্টা করেছে পরিবহণ দফতর। বার বার সেই গাড়ির মালিকদের কাছে জানানো হয়েছে তাদের কর বকেয়া রয়েছে। অবিলম্বে সেই কর মিটিয়ে দিন। কিন্তু তারপরেও তারা কর মেটাননি বলে খবর। এদিকে বকেয়া কর অনেকদিন থাকলে জরিমানারও একটা বিষয় রয়েছে। তবে একাধিক ক্ষেত্রে সেই জরিমানাও মকুব করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও আসল করটা মেটাতে চাননি সেই গাড়ির মালিকরা।
এনিয়ে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, জরিমানার উপর ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি গাড়ির মালিকদের এসএমএস মারফত সতর্ক করা হচ্ছে। তাতে কিছু মালিক সাড়া দিচ্ছেন। তবে দামী গাড়ির মালিকদের একাংশের পথকর দেওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে।
এদিকে পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে কলকাতায় প্রায় ৩৭ শতাংশ গাড়ির পথকর বকেয়া রয়েছে। আসলে যারা লাইফটাইম ট্যাক্স দিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে কোনও সমস্য়া নেই। কিন্তু যারা গাড়ি কেনার সময় ৫ বছরের রোড ট্যাক্স দিয়েছেন সমস্যাটা তাদের জন্যই। কারণ পরের বছরগুলিতে দেখা যাচ্ছে অনেকেই সেই রোড ট্যাক্স আর দিতে চাইছেন না। এনিয়ে বার বার বলেও কাজ হচ্ছে না। এদিকে বিশাল অঙ্কের টাকা বকেয়া পড়ে থাকছে।
এদিকে এই কর না দেওয়ার তালিকায় কলকাতার একাধিক নামী ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। কেন তারা রোড ট্যাক্স সময়ের মধ্যে মিটিয়ে দিচ্ছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে এবার সেই দামী গাড়ির মালিকদের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে।