নিউ ইয়র্কে ভাষণের ঠিক আগে আক্রান্ত হলেন লেখক সলমন রুশদি। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপির এক সাংবাদিক জানিয়েছেন যে রুশদির পরিচয়পর্বের সময় মঞ্চে উঠে আসেন এক ব্যক্তি এবং তাঁকে ঘুষি মারতে থাকেন। রুশদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিম নিউ ইয়র্কের একটি কাউন্টিতে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল রুশদির। পরিচিতি দেওয়ার সময় এক ব্যক্তি মঞ্চে উঠে পড়েন। এপির সাংবাদিকদের বয়ান অনুযায়ী, লেখককে ঘুষি মারা বা ছুরি দিয়ে কোপানো হতে থাকে। তাঁকে মেঝেতে ফেলে দেওয়া হয় বা নিজেই মেঝেতে পড়ে যান লেখক।
আরও পড়ুন: SA and UAE T20 League 2022: আপত্তি IPL মালিকদের, লিগেও ব্রাত্য পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা: রিপোর্ট
অন্যদিকে, সংবাদসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে হামলার পর রুশদির প্রাথমিক চিকিৎসা করা হচ্ছে। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে লেখককে কোপানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আততায়ীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
ইরানের রোষে রুশদি
১৯৮৮ সাল থেকে ইরানে নিষিদ্ধ আছে রুশদির লেখা 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'। একাধিক মুসলিম সংগঠনের দাবি, ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধাধরণ করা হয়েছে। ১৯৮৯ সালে ইরানের নেতা আয়াতোল্লাহ খোমেনেই 'ফতোয়া' জারি করেছিলেন। রুশদিকে হত্যার ডাক দিয়েছিলেন। যে রুশদিকে হত্যা করবে, তাকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ারও ঘোষণা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে খামেনেইয়ের 'ফতোয়া' থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে ইরান। ২০১২ সালে ইরানের আধা-সরকারি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আবার রুশদির মাথার দর বাড়িয়ে দিয়েছিল। তবে সেইসময় কোনও ঝুঁকির কথা অস্বীকার করেছিলেন বিখ্যাত লেখক। তাঁর দাবি, ওই টাকায় কারও আগ্রহ নেই।