রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবথেকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত তিনি। সেই আলেক্সি নাভালনিকে 'খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না'। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা ঘোষণা করেছেন পুতিন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, পুতিন ভোটের ময়দানে নামছেন মানেই তাঁর জয় নিশ্চিত। এই আবহে তাঁর সবচেয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করা হল রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, নাভালনিকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। মস্কোর পূর্বে অবস্থিত ভ্লাদিমির অঞ্চলের আইকে-৬ পেনাল কলোনিতে বন্দি রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেখান থেকেই তিনি 'গায়েব' হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করা হল।
নাভালনির সমর্থক এবং সহযোগীদের দাবি, এই রুশ রাজনীতিবিদ এখন কোথায় আছেন, তা তাঁরা জানেন না। এই বিষয়ে সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ বলেন, 'আইকে -৬ কলোনির কারাগার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নাভালনিকে। সেখানকার কর্মীরাই এই কথা জানিয়েছেন। ওরা তাঁকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, সেটাও ওরা বলতে চাইছে না।' এদিকে এই বিষয়ে মুখ খুলেছে ক্রেমলিনও। তারা বলছে নাভালনি কোথায় আছে, তা তারা জানে না। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অগস্টেই নাভালনিকে আরও ১৯ বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছিল এক রুশ আদালত। এর আগেই তিনি জালিয়াতির অভিযোগে সাড়ে ১১ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন।
এদিকে নাভালনি অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁর সহযোগী লিওনিড ভলকভ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'সময়টা কাকতালীয়। রাশিয়ার রাজনীতি সরাসরি ক্রেমলিন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই নির্বাচনে পুতিনের প্রধান প্রতিপক্ষ কে, তা কারও কাছেই গোপন নয়। নাভালনির কন্ঠস্বর যাতে শোনা না যায়, তা নিশ্চিত করতে চান পুতিন।' উল্লেখ্য, সোমবার ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যনে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল নাভালনির। তবে তাঁকে দেখা যায়নি। এরপর থেকেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। এই আবহে নাভালনিকে নিয়ে আজ ক্রেমলিন বলেছে, 'নাভালনি কোথায় আছেন, সেই বিষয়ে আমরা অবগত নই।' এদিকে এই ঘটনায় আমেরিকা 'হস্তক্ষেপ' করছে বলেও তোপ দেগেছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, 'এখানে একজন অপরাধীর বিষয়ে কথা হচ্ছে। সে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে এদেশের আইন অনুযায়ী। এই আবহে আমেরিকা সহ যে কারও হস্তক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।'