মোহন ভাগবত বলেন, আরএসএসের শাখায় ধর্ম, বর্ণ, বর্ণ ও ভাষার ভিত্তিতে কোনও ভেদাভেদ করা হয় না। তিনি আরও স্পষ্ট করে দেন, যারা যারা 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দিতে পারে, এমন কারও উপর শাখায় আসার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। শুধু যারা নিজেদের ঔরঙ্গজেবের বংশধর বলে মনে করে, তারা আসতে পারবে না।
মুসলিমরাও কি RSS-এর শাখায় যেতে পারেন? ‘যারা ঔরঙ্গজেবের…’, বড় বয়ান মোহন ভাগবতের
আরএসএসের শাখায় কি যে কেউ আসতে পারেন? সম্প্রতি বারাণসী সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতকে এমনই প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে ভাগবত স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আরএসএস শাখায় বিশ্বাস, ধর্ম, জাতপাত, বর্ণ ও ভাষার ভিত্তিতে কোনও ভেদাভেদ করা হয় না। যারা যারা 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান দিতে পারে, এমন কারও উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি বলেছিলেন যে সঙ্ঘের শাখায় সকলেই স্বাগত, কেবল যারা নিজেদের ঔরঙ্গজেবের বংশধর বলে মনে করেন, তাদের জন্যে এখানে প্রবেশাধিকার নেই। (আরও পড়ুন: 'ওসামা বিন লাদেনপ্রেমী' বাংলাদেশ নিয়ে সতর্কতা জারি আমেরিকার)
ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত এখন বারাণসী সফরে গেছেন। রবিবার সকালে মালদহিয়ার লাজপত নগর পার্কের শাখায় পৌঁছন তিনি। এখানে তিনি শাখার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন, এরপর সেখানকার স্বেচ্ছাসেবকদের কিছু প্রশ্নের উত্তরও দেন। এ সময় আরএসএসের এক স্বেচ্ছাসেবকের প্রশ্ন করেন, 'আমরা কি আমাদের মুসলিম প্রতিবেশীদেরও শাখায় নিয়ে আসতে পারব?' জবাবে আরএসএস প্রধান বলেন, যাঁরা ভারত মাতা কি জয় স্লোগান দেন এবং গেরুয়া পতাকাকে সম্মান করেন, তাঁদের জন্য সঙ্ঘ শাখার দরজা খোলা। আরএসএসের মতাদর্শে পূজাপ্রথার ভিত্তিতে বৈষম্যের কোনও ধারণা নেই। তিনি বলেন, 'যারা নিজেদের ঔরঙ্গজেবের বংশধর বলে মনে করেন তারা ছাড়া সবাই এখানে আসতে পারেন। সঙ্ঘ শাখায় পূজার ভিত্তিতে কোনও বৈষম্য করা হয় না। আমাদের জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায় আলাদা হতে পারে, কিন্তু সংস্কৃতি একই।' আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত আরও বলেন, সঙ্ঘে কখনও কারও সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়নি। তিনি বলেন, আমাদের শাখাগুলোতে বরাবরই সবার প্রবেশাধিকার ছিল। (আরও পড়ুন: কথা মনে হয় কানে যায়নি বাংলাদেশের, মোদীকে 'ছুড়ে ফেলার' বার্তা 'বিপ্লবী' সারজিসের)
মোহন ভাগবত এই সময়ে অখণ্ড ভারতের ধারণা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন। তাঁর কথায়, কেউ কেউ মনে করেন অখণ্ড ভারতের ধারণা বাস্তবসম্মত নয়, কিন্তু সত্য হল এটা সম্ভব। তিনি বলেন, আজ সিন্ধু প্রদেশের অবস্থা দেখুন। ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া অংশগুলির বিরুদ্ধে আজ বৈষম্য করা হচ্ছে। এই আবহে তিনি ফের একবার অখণ্ড ভারতের বাস্তবায়ন নিয়ে সরব হন।