মাইসোর স্য়ান্ডেল! এই নামটুকুই যথেষ্ট। সেই কোন কাল থেকে আজও ভারতের নানা প্রান্তে, ঘরে ঘরে জনপ্রিয় চন্দনের সুগন্ধীযুক্ত এই সাবান। সূত্রের দাবি, এবার নাকি সেই সাবানের সঙ্গে যুক্ত কিছু বিষয়ে বদল আসছে!
মাইসোর স্য়ান্ডেলের নেপথ্যে রয়েছে 'কর্ণাটকা সোপস অ্যান্ড ডিটেগ্রেন্ট লিমিটেড' (কেএসডিএল)। সরকারি এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে আগামী বছরই তারা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বদল আনতে চলেছে।
১০৮ বছরের প্রাচীন এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমান বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তারা মাইসোর স্যান্ডেলের বিক্রি আরও বাড়াতে চাইছে। যাতে আরও বেশি সংখ্যায় মানুষ এই সাবান ব্যবহার করে। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির এক নয়া যুগ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, আগামী দিনে প্রায় ৪৮০ নতুন ডিস্ট্রিবিউটরকে তাদের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেএসডিএল। যাতে ভারতের সেইসব প্রান্তেও সুগন্ধী এই সাবান পৌঁছে যায়, যেখানে আগে কখনও মাইসোর স্যান্ডেলের আত্মপ্রকাশ ঘটেনি।
এই তালিকায় রয়েছে - জম্মু ও কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, গুজরাট এবং পঞ্জাব। সংস্থার আশা, দক্ষিণ ভারত এবং দেশের অন্য়ান্য রাজ্যের মানুষ যেভাবে মাইসোর স্য়ান্ডেল আপন করে নিয়েছে, সংশ্লিষ্ট নতুন রাজ্যগুলিতেও তার ব্যতিক্রম হবে না।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, মাইসোর স্য়ান্ডেল কর্ণাটকের পণ্য হওয়া সত্ত্বেও অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে এই সাবানের বিক্রি অনেক বেশি হয়।
কেএসডিএল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. প্রশান্ত পিকেএম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, 'দক্ষিণের রাজ্যগুলি আজও আমাদের প্রধান বাজার। আমাদের সংস্থা যে পরিমাণ মুনাফা করে, তার প্রায় ৮১ শতাংশই আসে এই রাজ্যগুলি থেকে। এর প্রধান কারণ হল - দীর্ঘ সময় ধরে চলে অসা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা এবং বাজারের প্রতি আমাদের মনোনিবেশ।'
প্রসঙ্গত, মাইসোর স্যান্ডেল বললেই সাবানের যে বাক্সের ছবি চোখে ভেসে ওঠে, তাতে রয়েছে লাল ও সবুজের ছোঁয়া। এবং সঙ্গে রয়েছে একটি ট্যাগলাইন - 'একমাত্র সাবান যা ১০০ শতাংশ চন্দনকাঠের তেল দিয়ে তৈরি করা হয়।'
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এবার এই বাক্সের নকশায় বদল আনা হচ্ছে। তারা একটি নতুন নকশা এবং ট্যাগলাইন শীঘ্রই লঞ্চ করতে চলেছে। গত ৪০ বছরে যা কখনও করা হয়নি। সেই অর্থে এই বদল এক বিরাট পরিবর্তন। তাছাড়া, কেএসডিএল কর্তৃপক্ষ মাইসোর স্য়ান্ডেলের বাণিজ্যিক বণ্টন পদ্ধতিও আধুনিক করতে চাইছে।
ড. প্রশান্ত এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা বিপণনের চিরাচরিত ঐতিহ্য়ের বাইরে বেরোচ্ছি। আমরা বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছি, এখন সারা দেশের আমাদের পণ্য পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, আমরা বিভিন্ন শপিং মল এবং বড় শহরগুলির মেট্রো স্টেশনগুলিতেও এই সাবান বিক্রি করব। যাতে বিভিন্ন ধরনের ক্রেতার কাছে মাইসোর স্য়ান্ডেল পৌঁছে যায়।'