করোনা পরিস্থিতিতে রেমডেসিভিরের চাহিদা তুঙ্গে। করোনা চিকিত্সায় ব্যবহৃত এই অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের রীতিমতো আকাল দেখা দিয়েছে দেশজুড়ে। এবার সেই অভাব মিটবে বলে আশ্বস্ত করল কেন্দ্র। ভারতেই বিপুল পরিমাণে রেমডেসিভির উত্পাদন করা হচ্ছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় ফার্মাসিউটিক্যাল দফতর।করোনা পরিস্থিতিতে রেমডেসিভিরের চাহিদা তুঙ্গে পৌঁছলেও জোগান ছিল তুলনায় অনেকটাই কম। শুরু হয়েছে কালোবাজারি। অসাধু বিক্রেতাদের থেকেই অতিরিক্ত দাম দিয়ে জীবনদায়ী ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছিলেন রোগীর পরিজনরা। এবার সেই সমস্যা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।ইতিমধ্যেই দেশের অভ্যন্তরে রেমডেসিভিরের চাহিদা মেটাতে বিদেশে রফতানি স্থগিত রেখেছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে দ্রুত হারে চলছে উত্পাদন। কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মাসে ১ কোটি ১৯ লক্ষ ভায়াল রেমডেসিভির উত্পাদন হচ্ছে ভারতে। মোট ৭ টি ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিকে রেমডেসিভিরের পেটেন্ট দিয়েছিল মার্কিন সংস্থা জিলিড লাইফ সায়েন্স। এই তালিকায় আছে সিপলা, হেটেরো জুবিল্যান্ট ফার্মা, মিলান, সিঞ্জিন, জাইডাস ক্যাডিলার, ডঃ রেড্ডিজ ল্যাবরেটরিজের মতো প্রথম সারির সংস্থা। দেশের মোট ৩৮টি কারখানায় নতুন করে উত্পাদন শুরু হয়েছে। এর আগে মাত্র ২২টি কারখানায় এই ওষুধের উত্পাদন হচ্ছিল।ওষুধের উত্পাদনে যাতে কাঁচামালের জোগান বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, সেই জন্য বিদেশ থেকে ক্রমাগত কাঁচামাল সরবরাহের দিকে নজর রাখছে কেন্দ্র। এ বিষয়ে নজর রাখছে বিদেশমন্ত্রকও।সাধারণ অবস্থায় এক ভায়াল রেমডিসিভিরের দাম ৮৯৯-৩,৪৯০ টাকা পর্যন্ত হয়। কিন্তু বর্তমানে কালোবাজারির সুযোগে তাই বিক্রি হচ্ছে ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকায়। করোনা আক্রান্তকে দ্রুত সুস্থ করে তোলার আশায় চড়া দামেই রেমডিসিভির কিনছেন অনেকে।