
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন এন বীরেন সিং।এবার এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ খুললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি লিখেছেন, প্রায় দু বছর ধরে বিজেপির মুখ্য়মন্ত্রী বীরেন সিং মণিপুরে বিভাজনে উসকানি দিচ্ছিলেন। হিংসা, জীবনহানি, মণিপুরে ভারতের যে আদর্শ সেটা ধ্বংস হলেও মোদী তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে দিচ্ছিলেন।
মুখ্য়মন্ত্রী বীরেন সিংয়ের ইস্তফা জনতার চাপে হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের তদন্ত, কংগ্রেসের অনাস্থার জেরে কাজ হয়েছে। কিন্তু সবথেকে বড় অগ্রাধিকার হল সেই রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনা। মণিপুরের ক্ষততে প্রলেপ দেওয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একবার মণিপুর সফর করা দরকার। সেখানকার মানুষের কথা শোনা দরকার। এরপর সেখানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে তাঁর পরিকল্পনার কথা বলা দরকার।
দিনের পর দিন ধরে হিংসা মণিপুরে। একেবারে ধারাবাহিক হিংসা। মাঝে কিছুদিন সেই হিংসার আগুন স্তিমিত হয়েছে। ফের সেই হিংসার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে মাঝেমধ্যেই।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ২০২৩ সালের মে মাস থেকে গোটা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট ছিল যে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এন বীরেন সিংয়ের অবস্থান অসমর্থনযোগ্য। এটাও স্পষ্ট যে তিনি তাঁর পদে থাকার জন্য অযোগ্য, তবুও কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর অপসারণের ক্রমবর্ধমান দাবি সত্ত্বেও তাঁকে আড়াল করে চলেছে।
২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি বিশৃঙ্খলায় ইন্ধন জুগিয়েছেন, যা মণিপুরের গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। হিংসা উসকে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর নিষ্ক্রিয়তা এবং সক্রিয় ভূমিকা অনেক মূল্যবান জীবন ব্যয় করেছিল - যে জীবনগুলি তাকে আরও আগে সরিয়ে দেওয়া হলে বাঁচানো যেত। হিংসায় উস্কানি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস দলের অনাস্থা প্রস্তাব প্রকাশ করে অকাট্য অডিও ক্লিপগুলি শেষ পর্যন্ত তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছে।
বেণুগোপাল বলেন, আমরা আশা করি মণিপুর যে ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন সহ্য করেছে তা শেষ করার প্রথম পদক্ষেপ হবে।
বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের একদিন আগে রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মণিপুরের মুখ্য়মন্ত্রী।
রাজ্যে জাতিগত হিংসা ছড়িয়ে পড়ার দু'বছর পরে বীরেন সিং মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন।
২০২৩ সালের মে মাসে রাজ্যটিতে জাতিগত হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন।
মণিপুর হাইকোর্টের নির্দেশের পরে মণিপুরে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে ৩ মে, ২০২৩-এ মণিপুর হাইকোর্টের আদেশের পরে মণিপুর এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports