কীভাবে ২,০০০ টাকার নোট এক্সচেঞ্জ বা ডিপোজিট করবেন? কবে থেকে সেই সুযোগ পাবেন? সব খবর পাবেন এই প্রতিবেদনে।
২০১৩-১৪ সালে RBI ঠিক যেভাবে টাকা ফেরত নিয়েছিল, অনেকটা সেই ধাঁচেই, ২,০০০ টাকার নোট বন্ধ করা হবে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ক্লিন নোট নীতির অংশ হিসাবে বাজার থেকে ২,০০০ টাকার অঙ্কের ব্যাঙ্ক নোট প্রত্যাহার করা হবে। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় রিডার্ভ ব্যাঙ্ক। এর আগে ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার কাগজী নোট প্রত্যাহার করার পর ২,০০০ টাকার নোট চালু করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের কথা। তারপর প্রায় ৭ বছর পার হয়ে গিয়েছে। দেশজুড়ে ২,০০০ টাকার নোট ছড়িয়ে পড়লেও, ধীরে ধীরে তার সংখ্যা কমিয়ে আনাটাই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের লক্ষ্য ছিল। সেই উদ্দেশ্যে ২০১৮-১৯ সাল থেকেই ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে এই ঘোষণাকে একেবারে আকস্মিক সিদ্ধান্ত ভাবলে ভুল করবেন। আরও পড়ুন: বাজার থেকে ২০০০ এর নোট তুলে নিচ্ছে আরবিআই! বৈধতা কতদিনের?
২,০০০ টাকার নোটের ৮৯%(আনুমানিক) ২০১৭ সালের মার্চের আগেই ছেপে বের হয়েছিল। তাদের ৪-৫ বছরের আয়ু প্রায় শেষের দিকে। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত, বাজারে প্রচলনে থাকা এই নোটগুলির মোট মূল্য প্রায় ৬.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। সেই সময়ে মোট প্রচলিত নোটের প্রায় ৩৭.৩% ছিল এই ২,০০০ টাকার নোটই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা হ্রাস পেয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিকল্পনামাফিক, বর্তমানে বাজারে প্রচলিত মোট নোটের মাত্র ১০.৮%-ই ২,০০০ টাকার নোট। অর্থাত্, প্রতি ১০টি বিভিন্ন অঙ্কের নোটের মধ্যে মাত্র ১টি ২,০০০ টাকার নোট। ফলে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মনে করছে, নিত্য প্রয়োজনীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে ২,০০০ টাকার নোটের চাহিদা কম। এটি বন্ধ হলে লেনদেনে সমস্যা হওয়ার পরিসরও কম। ঠিক সেই কারণেই ২,০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে RBI।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই, RBI ২,০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আইনি দরপত্র হিসাবে তাদের বৈধতা বজায় থাকবে।
২০১৩-১৪ সালে RBI ঠিক যেভাবে টাকা ফেরত নিয়েছিল, অনেকটা সেই ধাঁচেই পুরো ব্যাপারটা হবে।
কীভাবে ২,০০০ টাকার নোট এক্সচেঞ্জ বা ডিপোজিট করবেন?
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গিয়েই আপনার ২,০০০ টাকার নোট জমা করতে পারবেন। অথবা, যে কোনও ব্যাঙ্ক শাখায় গিয়ে বিনিময় করে নিতে পারেন। ধরুন আপনার একটি ২,০০০ টাকার নোট আছে। সেটি বদলে চারটি ৫০০ টাকার নোট নিয়ে নিলেন। আগের মতোই ভিড় সাপেক্ষে লাইন দিতে হতে পারে ব্যাঙ্কে।
২৩ মে, ২০২৩ থেকে আপনি যে কোনও ব্যাঙ্কে গিয়ে এই সুবিধা পাবেন।
তবে মনে রাখবেন, এক সময়ে, এক সঙ্গে মোট ২০,০০০ টাকার সীমা পর্যন্ত অঙ্কের নোটই বদল করতে পারবেন। অর্থাত্ ১০টির বেশি ২,০০০ টাকার নোট নিয়ে গেলে পাল্টানো যাবে না।