মোট ৭০ একর জমি জুড়ে তৈরি হয়েছে এই রামমন্দির কমপ্লেক্স। রামলালাকে দর্শন করতে যাওয়া ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে প্রথমে বাইরের প্রাচীর অতিক্রম করতে হবে। এই প্রাচীরই মূল কাঠামোকে ঘিরে রয়েছে। ৭৯৫ মিটারের 'পারকোটা'-র ভিতরে পাঁচটি মন্দির এবং গর্ভগৃহ আছে।
রামমন্দির
কর্ণাটকের চিক্কাবল্লপুর, সদরহল্লি, দেবানাহল্লি, অন্ধ্র ও তেলঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল ও করিম নগর থেকে রামমন্দিরের পাথর গিয়েছে অযোধ্যায়। রাজস্থানের মাকরানা পাথর দিয়ে মেঝে তৈরি হয়েছে। দেওয়ালে ব্যবহার হয়েছে বায়ানা স্যান্ডস্টোন। পাথরে পাথরে ইন্টারলকিং পদ্ধতিতে তৈরি এই মন্দির। দাবি করা হচ্ছে এটি টিকবে হাজার বছর। অযোধ্যার রামমন্দির কমপ্লেক্সের নীচতলায় রয়েছে পাঁচটি কাঠামো এবং গর্ভগৃহ। এখানেই আজ রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আচার-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৭০ একর জমি জুড়ে তৈরি হয়েছে এই রামমন্দির কমপ্লেক্স। রামলালাকে দর্শন করতে যাওয়া ভক্তদের মন্দিরে প্রবেশ করতে হলে প্রথমে বাইরের প্রাচীর অতিক্রম করতে হবে। এই প্রাচীরই মূল কাঠামোকে ঘিরে রয়েছে। ৭৯৫ মিটারের 'পারকোটা'-র ভিতরে পাঁচটি মন্দির এবং গর্ভগৃহ আছে। সেখানেই রামলালার মূল মূর্তি থাকবে এবং ভক্তরা এর পরিক্রমা করতে পারবেন। (আরও পড়ুন: 'মোদী একা...', রামমন্দিরে দাঁড়িয়ে কী বার্তা দিলেন RSS প্রধান মোহন ভাগবত?)
গর্ভগৃহের ঠিক সামনে, মন্দিরে পাঁচটি মণ্ডপ রয়েছে। গর্ভগৃহ থেকে মন্দিরের প্রথম সিঁড়ি পর্যন্ত গোটা কাঠামোর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ ফুট। ৩২টি সিঁড়ি উঠলেই রামমন্দিরের মূল কাঠামোয় প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা। মন্দিরের পূর্ব দিক দিয়ে ভক্তরা মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন। রামলালাকে দর্শনের পর দক্ষিণ দিক দিয়ে রয়েছে প্রস্থানের পথ। রামলালার মূল মন্দির ছাড়াও মন্দির চত্বরের মধ্যে থাকবে মহর্ষি বাল্মীকি, মহর্ষ বশিষ্ঠ, মহর্ষি বিশ্বামিত্র ও মহর্ষি অগস্ত্যর আলাদা আলাদা মন্দির। এছাড়া নিষাদ রাজ, সবরী মাতা ও দেবী আহল্যার মন্দিরও থাকবে মন্দির চত্বরের ভিতরে।