রাজ্যসভায় সোমবার ভারতীয় রেলের অর্থনৈতিক দিক নিয়ে মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। তিনি জানান, ক্রমাগত উন্নয়নের ফলে ভারতীয় রেলের আর্থিক অবস্থা ভালোর দিকে যাচ্ছে। তিনি সংসদে জানান, অতিমারী সম্পর্কিত যে চ্যালেঞ্জ রেলের সামনে এসে পড়েছিল, তা কাটিয়ে উঠেছে ভারতীয় রেল। সংসদে ভাষণের সময় রেলমন্ত্রী তুলে ধরেন রেলের ভাড়ার প্রসঙ্গ। সেই ইস্যুতে তিনি তুলনা টানেন পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার রেলের ভাড়ার সঙ্গেও।
সংসদে রেল মন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন, সেখানে তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ সালে, ভারতীয় রেলওয়ে প্রায় ২,৭৫,০০০ কোটি টাকার খরচের প্রেক্ষিতে আনুমানিক ২,৭৮,০০০ কোটি টাকার রাজস্ব রিপোর্ট করেছে। প্রধান ব্যয়ের উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে কর্মীদের খরচ (১,১৬,০০০ কোটি), পেনশন প্রদান (৬৬,০০০ কোটি), জ্বালানি খরচ (৩২,০০০ কোটি) এবং অর্থায়ন খরচ (২৫,০০০ কোটি)। সংসদের ভাষণে রেলমন্ত্রী বৈষ্ণো বলেন,' ভালো পারফরম্যান্সের কারণে রেলওয়ে নিজস্ব আয় থেকে তার ব্যয় মেটাচ্ছে। ...সামগ্রিকভাবে, আর্থিক অবস্থা ভালো এবং আমরা ক্রমাগত এটির উন্নত করার চেষ্টা করছি।' রাজ্যসভায় এই অধিবেশনে রেলের ভাড়া নিয়েও মুখ খোলেন ভারতের রেলমন্ত্রী। অশ্বীনী বৈষ্ণো জানান, রেলে প্রতি কিলোমিটারের প্রকৃত খরচ ১.৩৮ টাকা হলেও, যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্র ৭২ পয়সা নেওয়া হয়, যার ফলে ২০২৩-২৪ সালের জন্য মোট যাত্রী-ভর্তুকির অঙ্ক প্রায় ৫৭,০০০ কোটি টাকা।
( Manipur Latest Update: ফের তপ্ত মণিপুর! মার উপজাতির নেতাকে মারধর ঘিরে উত্তেজনা, চুরাচাঁদপুরে জারি ১৬৩ ধারা)
( India Pakistan: ‘গ্লোবাল সন্ত্রাসের কেন্দ্র কোথায় গোটা বিশ্ব জানে’, পাকিস্তান আঙুল তুলতেই ইসলামাবাদকে ধুয়ে দিল দিল্লি)
রাজ্যসভায় তাঁর ভাষণে রেলমন্ত্রী জানান, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে তুলনা করলে, ভারতের রেলের ভাড়া অনেকটাই কম। এক্ষেত্রে তিনি পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার রেলের সঙ্গে ভারতীয় রেলের তুলনা টানেন। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো বলেন, ‘ যদি আপনি ৩৫০ কিলোমিটারের যাত্রার দিকে তাকান, তাহলে ভারতে জেনারেল ক্লাসে ভাড়া ১২১ টাকা, পাকিস্তানে ৪০০ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ৪১৩ টাকা। প্রায় সব বিভাগেই এটি (দামের হার) একই রকম।’ রেলমন্ত্রী, যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন বৃদ্ধি সহ রেলের বেশ কিছু অর্জনের কথাও তুলে ধরেন তাঁর ভাষণে। চলতি বছরের ৩১শে মার্চের মধ্যে, ভারতীয় রেলপথ ১.৬ বিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন ক্ষমতা নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ তিনটি দেশের মধ্যে স্থান করে নেবে বলে মনে করা হচ্ছে, যা কেবল চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই থাকবে।