পঞ্জাবে এক গ্যাজেট নোটিফিকেশন প্রকাশ হতেই শুরু হয়েছে তোলপাড়। ‘দ্য ট্রিবিউন’র খবর অনুযায়ী, সেই গেজেট নোটিফিকেশন(বিজ্ঞপ্তি) অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, পঞ্জাবের মন্ত্রী কুলদীপ সিং ধালিওয়াল গত ২০ মাস ধরে এমন এক দফতরের মন্ত্রী ছিলেন, যে দফতরই ‘অস্তিত্বহীন’। অস্তিত্ব নেই এমন দফতরকে পঞ্জাবের আপ মন্ত্রিসভার মন্ত্রী প্রায় এক বছরের কাছাকাছি সময় ধরে কীভাবে চালাতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কটাক্ষবাণে শান দিয়েছে বিজেপি।
( Sambhal Violence: সম্ভাল দাঙ্গায় দাউদ, ISI-ঘনিষ্ঠের যোগ! UAEতে তৈরি হয়েছে হিংসার প্লট, চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য)
যে গেজেট নোটিফিকেশনে এই বিস্ফোরক তথ্যটি উঠে এসেছে, তা ইস্যু হয়েছে পঞ্জাবের মুখ্যসচিবের তরফে। নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে,' মন্ত্রীদের মধ্যে মন্ত্রক বরাদ্দ সংক্রান্ত পূর্ববর্তী পঞ্জাব সরকারের বিজ্ঞপ্তির আংশিক পরিবর্তনে, ধালিওয়ালকে আগে বরাদ্দ করা প্রশাসনিক সংস্কার (অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস) দফতরটির বর্তমানে আর অস্তিত্ব নেই।' প্রসঙ্গত, গোটা বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা কুলদীপ সিং ধালিওয়াল বর্তমানে শুধু পঞ্জাবের মন্ত্রিসভার ‘এনআরআই’ বা অনাবাসী ভারতীয় সংক্রান্ত বিষয়ের দফতরের মন্ত্রী থাকবেন। এদিকে, যে বিজ্ঞপ্তি পঞ্জাব সরকারের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ধালিওয়ালের মন্ত্রক অ্যামেন্ড করা নিয়ে নির্দেশ এসেছে খোদ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভাগবন্ত মানের তরফে। আর সেই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে ধালিওয়াল, পঞ্জাবে কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন সংক্রান্ত মন্ত্রকের মন্ত্রী ছিলেন। পরে ২০২৩ সালে পঞ্জাবের মন্ত্রিসভার রদবদলের ফলে তাঁর মন্ত্রক পাল্টে যায়। তাঁকে দেওয়া হয় প্রশাসনিক সংস্কার (অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস) সংক্রান্ত দফতর। এরপর ২০২৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ফের অদল বদল হয় পঞ্জাবের মন্ত্রিসভার। তারপরও দেখা যায়, প্রশাসনিক সংস্কার (অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস)র মন্ত্রী রয়েছেন ধালিওয়াল। জানা যাচ্ছে, গত ২০ মাস ধরে এই দফতরের অস্তিত্ব কেবলই ছিল খাতায় কলমে। ‘দ্য ট্রিবিউন’র খবর বলছে, বিভাগে কোনও কর্মী নিয়োগও হয়নি, কোনও প্রশাসনিক বৈঠকও হয়নি। এদিকে বিজেপির তরফে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়া হয়নি। বিজেপির অমিত মালব্য এক টুইটে লেখেন, পঞ্জাবের আপ সরকারের সংকট বোঝা যাচ্ছে এই থেকে যে ২০ মাস সময় লেগে যায় এটা বুঝতে যে, একটি বিভাগের দায়িত্বে একজন মন্ত্রীকে রাখা হয়েছে, যে বিভাগের অস্তিত্বই নেই। বিজেপির প্রদীপ ভান্ডারি লেখেন,' পঞ্জাব সরকারকে আপ গভর্ননেন্স মশকরা বানিয়ে রেখে দিয়েছে। অস্তিত্বই নেই এমন এক বিভাগের দায়িত্বে গত ২০ মাস ধরে রয়েছেন এক মন্ত্রী। আর ২০ মাস ধরে একজন মুখ্যমন্ত্রীর এটা বুঝতে সময় লাগল যে ওই বিভাগের কোনও অস্তিত্বই নেই। '