আম আদমি পার্টি পঞ্জাব জয় করার পর থেকেই জাতীয় রাজনীতিতে রব উঠেছে, তাহলে কি কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে আম আদমি পার্টি। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের উচ্চাকাশঙ্খা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এই আবহে প্রশান্ত কিশোরের অবশ্য এখনও ‘ভরসা’ কংগ্রেসের উপরই। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘কংগ্রেসকে পুনরজ্জীবিত করা কঠিন, তবে তার মানে এই না যে তৃণমূল বা আম আদমি পার্টি কালকে জাতীয় দলে পরিণত হবে।’আম আদমি পার্টি প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘হয়ত বা চেকলিস্টে থাকা বেশ কিছু বাক্সে টিক করছে আম আদমি পার্টি। তবে কিছু বাক্সে টিক পড়া এবং সবকিছুকে বাস্তবায়িত করা পুরোপুরি ভিন্ন। গোয়া এবং উত্তরাখণ্ডেই আম আদমি পার্টির পারফর্ম্যান্স দেখুন। শুধু পঞ্জাবেই হয়ত আম আদমি পার্টির ঝড় বয়েছিল। ২০১৭ সালে আমি নিজে পঞ্জাব নির্বাচন সামলেছিলাম। কংগ্রেস তাদের আটকাতে সমর্থ হয়েছিল সেবার। পঞ্জাবে এবার যেটা হয়েছে, তা হল লোকের এই বর্তমান ব্যবস্থার প্রতি বিতৃষ্ণা জেগে যায়। পঞ্জাবে এবার নর্মাল ভোট হয়নি। এরম খুবই কম হয় যেখানে মুখ্যমন্ত্রী, সিনিয়র বাদল,ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সবাই হেরে গিয়েছেন।’প্রশান্ত কিশোর এরপর বলেন, ‘আম আদমি পার্টিকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং কংগ্রেসকে পুনুরজ্জীবিত করা, দুই কাজই সমান কঠিন। তবে তাও আমি বলব যে কংগ্রেসকে পুনরজ্জীবিত করা বেশি সহজ হবে। আম আদমি পার্টি হল একজন সাংসদের দল। গত লোকসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি পেয়েছিল মাত্র ২৭ লক্ষ ভোট। ভারতকে জিততে লাগে ২৫ কোটি ভোট। তো আমনি ১০০ গুণ বেশি ছড়ানোর কথা বলছেন। আর কংগ্রেসকে ১০-১১ কোটি ভোট থেকে ২৫ কোটিতে নিয়ে যেতে হবে। তবে কংগ্রেসকে পুনরজ্জীবিত করা কঠিন হওয়ার মানে এই না যে কালকে আম আদমি পার্টি বা তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দল হয়ে উঠবে। এদের জাতীয় দল হতে হলে আগামী বহু বছর ধরে অনেক কষ্ট করতে হবে। তাহলে গিয়ে তারা জাতীয় দল হতে পারবে।’