কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। একদিকে যখন কিছু ইউটিউবারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগ উঠছে, সেই আবহে আজ (রবিবার - ১৮ মে, ২০২৫) হিমন্ত দাবি করেন, কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর আমন্ত্রণে সেদেশে সফর করেছিলেন! এবং তিনি নাকি প্রতিবেশী দেশের ওই সরকারি সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজও করেছিলেন!
কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো অসমের এই মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন, গৌরব গগৈ পাকিস্তানে চরবৃত্তির প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন! একটি সরকারি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হিমন্ত বলেন, সরকারের কাছে তাঁর এই দাবির সমর্থনে প্রামাণ্য দলিল রয়েছে। এবং তা যথাযথভাবে যাচাই করার পর আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আইএসআই-এর আমন্ত্রণে গৌরব গগৈ পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। আমি এই প্রথম বলছি। আমাদের কাছে এর কাগজপত্র আছে। তিনি সেখানে মোটেও ঘুরতে যাননি। তিনি অবশ্যই প্রশিক্ষণের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন।... লোকসভায় কংগ্রেসের উপনেতা পাকিস্তান সরকারের সরাসরি আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলেন এবং এটা বিপজ্জনক। তিনি পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কখন আমন্ত্রণ পাঠায়? এটা শুধু প্রশিক্ষণের জন্যই ছিল।'
হিমন্তের যুক্তি, 'বিদেশ মন্ত্রক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হলে, সেটা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। এই আমন্ত্রণ বিদেশ মন্ত্রক বা সংস্কৃতি বিভাগ থেকে আসেনি। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রত্যক্ষ আমন্ত্রণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।'
মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছিলেন যে এখানকার সরকারের কাছে গৌরব গগৈয়ের এই সমস্ত ক্রিয়াকলাপের প্রমাণ রয়েছে এবং তিনি সেগুলি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। তিনি বলেন, 'আমরা প্রমাণ দেখেছি। কাগজপত্র পেতে আমাদের কেবল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় প্রয়োজন। আমাদের একটি নোটিশ জমা দিতে হবে এবং তারপর দূতাবাস আমাদের নথি সরবরাহ করবে। ১০ সেপ্টেম্বর তার শেষ তারিখ। দয়া করে ওই সময়ের মধ্যে এটা সম্পর্কে আর প্রশ্ন করবেন না।'