ভারতে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম নিয়ে যখন চর্চা জারি রয়েছে, তখন পাকিস্তানে সেদেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা খর্ব করা নিয়ে পাশ হয়ে গেল নতুন আইন। শাহবাজ সরকারের আমলে পাশ করা এই আইন নিয়ে একাধিক তথ্য পেশ করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
পাকিস্তানে সুপ্রিম কোর্ট (প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিজিওর) বিল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। শুক্রবার থেকে তা আইনে রূপান্তরিত হয়েছে। শাহবাজ শরিফ সরকার তা সদ্য গেজেটে তুলে ধরেছে। পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মুখপাত্র জানিয়েছে, সেদেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির তরফে একটি গেজেট নোটিফিকেশন পেশ করা হয়েছে প্রিন্টির কর্পোরেশনের কাছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘সমস্ত স্তরের অনুমোদনের পর ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়েট এই বিজ্ঞপ্তি জারি করছে যে সুপ্রিম কোর্ট প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রসিজিওর বিল এবার থেকে লাগু হবে।’ উল্লেখ্য, সেদেশে এই আইনকে স্থগিত রাখার কথা সুপ্রিম কোর্ট বললেও, তারপরও শাহবাজ সরকার এই পদক্ষেপ নেয়। এদিকে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারিয়েট পাকিস্তানের প্রিন্টিং কর্পোরেশনকে এই বিজ্ঞপ্তি লাগু করতে বলে প্রকাশিতভাবে। এর আগে,পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে পারত, যারফলে আদালত নিজেই কোনও পদক্ষেপ করতে পারত সেই সমস্ত ইস্যুতে, যেগুলি জনস্বার্থ মামলা, মৌলিক অধিকার ভঙ্গকারী মামলা হিসাবে উঠে আসত। তবে শরিফ সরকার সেই অধিকারের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ শাহবাজ শরিফ ও তাঁর মন্ত্রিসভা মনে করে যে এই মামলাগুলি পাকিস্তানের রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি করছে।
( ফিনান্সিয়াল ইনফ্লুয়েন্সারের কথায় লগ্নি, পনজি অ্যাপ নিয়ে সচেতনতার বার্তা নির্মলার)
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি এই আইন দু'বার খারিজ করেছেন। তবে সদ্য ১০ এপ্লি পাকিস্তানের সংসদে সেই আইন হয়েছে পাশ। যারফলে কার্যত পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ও তার প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা লাঘব হয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানের আর্টিক্যাল ৭৫(২) ধারায় এই আইন লাগু হয়েছে। উল্লেখ্য, সদ্য পাকিস্তানে নির্বাচনে বিলম্ব ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্ট পদক্ষেপ করেছিল আইনি পন্থায়। তারপরই এই পদক্ষেপ করে সরকার ও মন্ত্রিসভা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক