ব্রাজিলে শুরু হয়েছে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন। আর পঞ্চদেশীয় সফরে বেরিয়ে তাতে যোগ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার ব্রাজিলের রিও শহরে মডার্ন আর্ট মিউজিয়াম ঘুরে দেখার পরেই ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এই নিয়ে চতুর্থবার লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি তিনি রাজধানী ব্রাসিলিয়াতেও যাবেন বলে জানা গিয়েছে। ব্রাজিলে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে আমি রিও ডি জেনেরিওতে পৌঁছে গিয়েছি। পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনসিও লুলা দা সিলভার আমন্ত্রণে আমি রাজধানী ব্রাসিলিয়াতেও যাব।' ব্রাজিল পৌঁছতেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন সেদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রাও।
আরও পড়ুন-'গ্লোবাল সাউথ দ্বৈত নীতির শিকার!' ব্রিকস সম্মেলনে বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সম্মেলনের প্রসঙ্গে দু-কথা লিখে ছবি তুলে ধরতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। মোদী লেখেন, ‘রিও-দে-জেনেরিওতে এই বছর ব্রিকস সামিট আয়োজনের জন্য প্রেসিডেন্ট লুলার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। এই শীর্ষ সম্মেলন বিশ্বের অর্থনৈতিক শক্তি ও সহযোগিতার প্রতীক।’ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এদিন ব্রিকস সম্মেলনের ‘মিটিং পয়েন্টে’ পৌঁছে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে ততক্ষণে উপস্থিত হয়েছিলেন বিশ্বের রাষ্ট্রনেতারা। সেখানে হাতে হাত মিলিয়ে ছবি তুলতেও দেখা যায় রাষ্ট্রনেতাদের।আর তাঁদের মধ্যমণি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গেই ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করেন মোদী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে গ্রুপ ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, 'ব্রাজিলের রিও-দে-জেনেরিওতে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে নেতাদের সঙ্গে পারস্পারিক সহযোগিতার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায় সঙ্গত বিশ্বের ভবিষ্যত গঠনে অবদান রাখার জন্য ব্রিকসের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে।' ৬ এবং ৭ জুলাই ব্রাজিলের রাজধানী রিও-দে-জেনেরিওতে হচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন। তবে এবার সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি না চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সূত্রের খবর, মার্কিন প্রেসিডেন্টের খামখেয়ালি শুল্কনীতির কড়া প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন ব্রিকসের নেতারা। ট্রাম্পের শুল্কনীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়েও হতে পারে বিস্তারিত আলোচনা।
আরও পড়ুন-'গ্লোবাল সাউথ দ্বৈত নীতির শিকার!' ব্রিকস সম্মেলনে বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ব্রিকস গঠিত হয়েছিল। ব্রাজিল, চিন, রাশিয়া, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই গোষ্ঠীর প্রাথমিক সদস্য দেশ। এছাড়াও পরে বেশ কিছু দেশ, আরব আমিরশাহী, ইরান, ইথিওপিয়া, মিশর এবং ইন্দোনেশিয়া যোগদান করে। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীত শক্তি হিসাবে ভূ-রাজনৈতিক পরিসরে মাথা চাড়া দেয় এই সংগঠন। চলতি বছর যার তাৎপর্য অনেকটাই। কারণ,মার্কিন মসনদে ট্রাম্প আসীন হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে একটা মাথা ব্যথা তৈরি হয়েছে, তা হল শুল্ক নিয়ে। এছাড়াও ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রভাব সরাসরি পড়েছে এই ব্রিকসের দেশের নাগরিকদের।