কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল নয় পিএম কেয়ার ফান্ড। ফের একবার দিল্লি হাই কোর্টকে এই একই কথা জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, পিএম কেয়ার সম্পূর্ণভাবে সেবামূলক একটি তহবিল। উল্লেখ্য, করোনা আবহে ২০২০ সালের মার্চ মাসে পিএম কেয়ার তহবিল গঠন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি ছিল, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতেই এই তহবিল তৈরি করা হচ্ছে। বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করার স্বার্থে এই তহবিলে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু, প্রথম থেকেই এনিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। পিএম কেয়ার ফান্ডে জমা পড়া টাকা কোথা থেকে আসছে এবং তা কোথায়, কীভাবে খরচ করা হচ্ছে, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এমনকী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন থেকে পিএম কেয়ার্সে দেওয়ার জন্য জোরজবরদস্তি টাকা কাটারও অভিযোগ ওঠে। অবিজেপি রাজনৈতিক দলগুলিও এনিয়ে সরব হয়। তার জেরেই গোটা ঘটনা গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় পিএম কেয়ারের খরচের হিসেব জানতে চেয়ে পিএমও-র কাছে বেশ কিছু আবেদন জমা পড়ে। আদালতেও এনিয়ে একাধিক মামলা রুজু হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর সেই তথ্য দিতে অস্বীকার করে। পিএমও-র তরফে জানানো হয়, দেশের আইন মোতাবেক, পিএম কেয়ার্সের তথ্য প্রকাশ্যে জানানো সম্ভব নয়। অবশ্য, পিএমওর বক্তব্য হল, অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গেই পিএম কেয়ারের টাকা খরচ করা হয়। নিয়মিত অডিটও করা হয় এই ফান্ড। অডিটের দায়িত্বে রয়েছেন একজন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে, জানাল SC
আদালতকে পিএমও জানিয়েছে, পিএম কেয়ার ফান্ডের যাবতীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপডেট করা হয়ে থাকে। যাতে তহবিলের খরচে কোনও অনিয়ম না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে দাবি করা হয়েছে। তাছাড়া, এখনও পর্যন্ত যাঁদের কাছ থেকেই এই তহবিলের জন্য অনুদান নেওয়া হয়েছে, সেগুলি সবই হয় অনলাইনে, চেক কিংবা ডিমান্ড ড্রাফ্টের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ জমা করা সমস্ত টাকারই হিসাব ও নথি রয়েছে। পাশাপাশি, টাকা খরচের যাবতীয় তথ্যও সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup