মাত্র চারঘণ্টার আন্তর্জাতিক সফর। আর তার মধ্যেই বিমানের সমস্ত মদ সাবাড় করে দিলেন যাত্রীরা! সোশাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অন্তত এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। এই কাণ্ড ঘটেছে সুরাট-ব্যাঙ্কক রুটে চলাচলকারী প্রথম যাত্রীবাহী বিমানে। বলা হচ্ছে, শুধু মদ নয়, যাত্রীরা বিমানের ভাঁড়ারে থাকা থেপলা (গুজরাটি খাবার)-ও সব সাবাড় করে দিয়েছেন।
গুজরাট সমাচারে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, যে বিমানে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাতে মোট ৩০০ জন যাত্রী ছিলেন। আর বিমানে মজুত মদের পরিমাণ ছিল ১৫ লিটার। যার দাম প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।
ওই প্রতিবেদনেই জানানো হয়েছে, যেহেতু গুজরাট থেকে বিমানটি উড়ান শুরু করেছিল, তাই বিমানে যথেষ্ট পরিমাণে জনপ্রিয় গুজরাটি স্ন্য়াক্স - খামান ও থেপলা ছিল। বিমান গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই সেসব পুরো ফাঁকা করে দেন যাত্রীরা।
বিষয়টি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঠাট্টা তামাশা শুরু হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ওই বিমানের ভিতরের ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বিমানের ভিতরেই রাখা রয়েছে মদের খালি বোতল।
এমনই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এক সোশাল মিডিয়া ইউজার লিখেছেন, 'আজ থেকে সুরাট-ব্যাঙ্কক রুটে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হল। উড়ান চলাকালীনই যাত্রীরা ১৫ লিটার মদ পান করে ফেলেছেন। এবং বিমান ব্যাঙ্ককে পৌঁছানোর আগেই মদের ভাঁড়ার ফুরিয়ে গিয়েছে। ৩০০ জন যাত্রী মাত্র ৪ ঘণ্টার সফরে প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মদ সাবাড় করে দিয়েছেন। এমনকী, তাঁরা সমস্ত স্ন্যাক্সও শেষ করে ফেলেছেন।'
তবে, এক্ষেত্রে বলে রাখা দরকার, এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান কর্তৃপক্ষের তরফে এই ঘটনা সম্পর্কে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। তথ্য যা পাওয়া যাচ্ছে, তা মূলত সোশাল মিডিয়া থেকেই।
প্রসঙ্গত, গুজরাটে মদ্যপান এবং মদ বিক্রি করা বেআইনি। সেই ১৯৬০ সাল থেকে সে রাজ্যে এই আইন কার্যকর হয়ে রয়েছে। যদিও তাতে অবশ্য রাজ্যবাসীকে মদ্যপান থেকে পুরোপুরি বিরত রাখা সম্ভব হয়নি।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার 'গুজরাট ইন্টারন্য়াশনাল ফিন্য়ান্স টেকসিটি' (গিফ্ট)-এ মদ্যপানের অনুমতি দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, গান্ধীনগরে অবস্থিত এই গিফ্ট হল - ভারতের প্রথম অর্থনৈতিক পরিষেবা প্রদান কেন্দ্র।
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, রাজ্যের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বার্থে অত্যাধুনিক এই পরিষেবা কেন্দ্রকে জনপ্রিয় ও কার্যকর করে তুলতেই এই বিশেষ অনুমতি বা ছাড় দেওয়া হয়েছে।