পাকিস্তানের পেশোয়ারে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘিরে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সদ্য পাকিস্তানে পুলিশের তরফে জানানো হয়, ওই বিস্ফোরণের নেপথ্যে থাকা সুইসাইড বম্বার পুলিশের উর্দিতে ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এছাড়াও মাথায় তার হেলমেট ছিল বলেও দাবি করছে পুলিশ।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার পুলিশের প্রধান মোজ্জাম তাহ আনসারি জানিয়েছেন, ‘যে পুলিশ কর্মীরা সেদিন দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা ওকে (সুইসাইড বম্বার)কে তল্লাশি করেননি, কারণ তিনি ছিলেন পুলিশের উর্দিতে। এটা নিরাপত্তার গাফিলতি।’ উল্লেখ্য, একদিকে এই ঘটনা ঘিরে যেমন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তেমনই ওই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে আততায়ীর মাথার অংশ। এরপরই সিসিটিভি ফুটেজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে ওই মাথার অংশটি। পুলিশের দাবি, দুটি মিলে যাওয়াতেই ওই সুইসাইড বম্বার সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা করা গিয়েছে। পাকিস্তান পুলিশ বলছে, ওই সুইসাই বম্বারের নেপথ্যে একটি ‘গোটা নেটওয়ার্ক’ রয়েছে। তবে উত্তর পশ্চিম পেশোয়ারে গিয়ে ওই ব্যক্তি এই গোটা ঘটনার পরিকল্পনা করেছে বলে অনুমান করছে পুলিশ। পাকিস্তান পুলিশের এও দাবি যে, এই শতাধিক মানুষকে হত্যাকারী বিস্ফোরণ একাই পরিকল্পনা করে ওই সুইসাইড বম্বার। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান পুলিশের শতাধির কর্মী ঘটনার সময় সেখানে প্রার্থনা করছিলেন। যখন বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে ভেঙে পড়ে মসজিদ। মসজিদের একটা বড় অংশ তখনই ভেঙে পড়ে অনেককে আহত যেমন করেছে তেমনই তাতে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। জানা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে খুঁজে বের করা হচ্ছে যে কোন কোন জায়গায় ছিল নিরাপত্তার ফাঁক। উল্লেখ্য পেশোয়ারের যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে, তার আশপাশ কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বাঁধা থাকে, সেখানে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় পুলিশ বহু দিক খতিয়ে দেখছে। (পরীক্ষার হল-এ ৫০০ মেয়ের মধ্যে একা পুরুষ! অজ্ঞান হয়ে গেলেন ছাত্র, এল জ্বর! এরপর?)
উল্লেখ্য, পুলিশ জানাচ্ছে, ঘটনার দিন সেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ জন পুলিশ জড়ো হয়েছিলেন। বিস্ফোরণের পর উড়ে গিয়েছে মসজিদের উপরের অংশ। এদিকে, পাকিস্তান পুলিশ দাবি করছে, এই ঘটনা পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিশোধ মূলক কাজ। প্রায়শই পেশোয়ারে নিম্নতলার সন্ত্রবাদীদের নানান হামলা হয়। তবে যেভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে তা গত কয়েক বছরে সবচেয়ে বেশি ভয়ানক। উল্লেখ্য, কাবুলে তালিবানের দখলদারির পর থেকেই পাকিস্তানের পেশোয়ারে এমন ঘটনা বাড়ছে। সেই জায়গা থেকে এমন বিস্ফোরণে উদ্বেগ বেড়েছে পাকিস্তানের।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup