অর্থনৈতিক সঙ্কট ক্রমাগত গভীর হচ্ছে ২৫.৬ কোটি মানুষের পাকিস্তানে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বড় শক্তি হিসাবে নিজেকে দেখছে পাকিস্তান। এখনও ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানকে সামরিক সাহায্য দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। আর এখন একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে যে এটি এখন দারিদ্র্যতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: (SSLV launch:স্বাধীনতা দিবসের পর দিনই ইসরো উৎক্ষেপণ করতে চলেছে SSLV, এবার লক্ষ্য কী?)
সংসার চালাতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠছেন
অবস্থা এমন হয়েছে যে, দেশের ৭৪ শতাংশ মানুষ তাঁদের মাসিক খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই হার গত বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। সে দেশে, সাধারণ মানুষ এখন নিজেদের খরচ মেটাতে টাকা ধার করতে বাধ্য হচ্ছে, অথবা পার্ট টাইম চাকরি করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ সরকার কিন্তু পাকিস্তানের অর্থনৈতিক দুরবস্থা ফেরাতে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৈরি করছে। কিন্তু তাতেও লাভ হচ্ছে না। ক্রমবর্ধমান ঋণ, দারিদ্রতা পাকিস্তানের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে ক্রমশ।
আরও পড়ুন: (PMLA: টাকা তছরুপের মামলায় ED ৯৩ শতাংশ ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত করতে পেরেছে, সংসদে তথ্য কেন্দ্রের)
জুলাই এবং অগস্টের মধ্যে পরিচালিত এই সমীক্ষায় দেশের ১১টি বৃহত্তম শহর থেকে ১,১১০ জনেরও বেশি মানুষের উত্তর শুনে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। তারই প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ করা হয়েছে যে ২০২৩ সালের মে মাসে, যেখানে ৬০ শতাংশ মানুষ, নিজেদের পরিবারের খরচ চালাতে সমস্যায় পড়েছিলেন, এখন তাঁদেরই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৪ শতাংশে। ৬০ শতাংশ নিজেদের গৃহস্থালির খরচ কমিয়েছেন। একই সময়ে পরিবারকে পর্যাপ্ত ভরণপোষণ দিতে ঋণ নিচ্ছেন ৪০ শতাংশ মানুষ। ১০ শতাংশ মানুষ নিজেদের খরচ মেটাতে পার্ট টাইম চাকরি শুরু করেছেন। পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষ কিছুই সঞ্চয় করতে পারছে না।
আরও পড়ুন: (Saket Gokhale: ‘৫০০ টাকার প্রতারণা মামলা’…ইডির চার্জ গঠনকে গায়ে মাখছেন না তৃণমূলের সাকেত)
কেন এতটা দুরবস্থা
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা দেখে এটাই অনুমান করা যায় যে দেশটির আর্থিক অবস্থা কতটা খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে।ক্রমবর্ধমান ঋণ সহ দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা দেশটির মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়েছে। গত অর্থ বছরেল পাকিস্তান অনেক ঋণ নিয়েছে। এখন পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ ৭৯.৭৩১ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি।সম্প্রতি আবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে তিন বছরের জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি সহায়তা প্যাকেজও পেয়েছে পাকিস্তান। শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার ঋণ মোকাবেলায় একটি নতুন তিন বছরের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করার পর এই সহায়তা মিলেছে। এই পরিকল্পনার অধীনে ২০২৭ সালের মধ্যে শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সরকার ফেডারেল বাজেটে রাজ্যগুলির অংশ ৩৯.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৮.৭ শতাংশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।