দেশে বেড়ে চলা অপরাধের মোকাবেলায় অবৈধভাবে থাকা আফগান নাগরিকদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তান। গত সেপ্টেম্বর মাসে শুধুমাত্র করাচি থেকে ৭০০ অবৈধ আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল পাক সরকার। এছাড়া, আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল।
পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার।
অবৈধভাবে থাকা বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল পাকিস্তান। সমস্ত অবৈধ বিদেশি নাগরিক বিশেষ করে অবৈধভাবে থাকা আফগান নাগরিকদের আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিল পাকিস্তান। ওই সময়ের মধ্যে দেশ না ছাড়লে বলপূর্বক উচ্ছেদ করা হবে বলে পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে পাকিস্তানে থাকা আফগান নাগরিকরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন। যার ফলে দেশে অপরাধ বাড়ছে। মূলত সেই কারণে পাক সরকার এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এরফলে স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্কের আর অবনতি ঘটবে। ইতোমধ্যেই পাক সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার।
দেশে বেড়ে চলা অপরাধের মোকাবেলায় অবৈধভাবে থাকা আফগান নাগরিকদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তান। গত সেপ্টেম্বর মাসে শুধুমাত্র করাচি থেকে ৭০০ অবৈধ আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল পাক সরকার। এছাড়া, আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। তারপরেই এই নির্দেশিকা জারি করল পাকিস্তান। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দেশের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকারের সভাপতিত্বে এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের উপস্থিতিতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পাকিস্তান। তারপরই ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করে অন্তর্বর্তী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সরফরাজ বুগতি এই কথা ঘোষণা করেন।
পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন, এর জন্য একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স ইতিমধ্যেই তৈরি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও যেসমস্ত অবৈধ বিদেশি নাগরিকরা দেশ ছাড়বে না। তাদের মালিকানাধীন অবৈধ সম্পত্তি এবং ব্যবসা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তিনি জানান, পাক গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি তাদের খুঁজে বের করবে এবং কর্তৃপক্ষ সেই সম্পত্তি এবং ব্যবসা বাজেয়াপ্ত করবে। অপরাধীদের পাকিস্তানিদেরও আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। এমনকী তিনি বলেন, পাকিস্তানি না হওয়া সত্ত্বেও যাদের কাছে পাকিস্তানের পরিচয়পত্র রয়েছে তাদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।