পাকিস্তান ও আমেরিকার মধ্যে একটি 'ঐতিহাসিক' বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে 'নেতৃত্ব' দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে শেহবাজ শরিফ এই বিষয়ে লেখেন, 'গত রাতে ওয়াশিংটনে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হয়েছে। এই চুক্তি চূড়ান্তের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে গভীর ধন্যবাদ জানাতে চাই।'
বুধবার ওয়াশিংটনে মার্কিন কমিশনার হাওয়ার্ড লুটনিকের সাথে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ ঔরঙ্গজেব দেখা করেন। এরপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে তেলের মজুদ উন্নয়নে সহায়তা করতে প্রস্তুত। শুধু তাই নয়, একদিন পাকিস্তান ভারতের কাছে তেল বিক্রি করবে বলেও 'আশা প্রকাশ' করেছেন তিনি।
ট্রাম্প বলেছেন, ভারতের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। এর কিছু পরেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, 'পাকিস্তানকে বিশাল তেলের মজুদ উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি চুক্তি করেছে।' তবে কোন সংস্থাকে এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, 'আমরা এই মাত্র পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছি। পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের তেলের মজুদ উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে।' এরপর ট্রাম্প নিজের পোস্টে আরও লেখেন, 'কে জানে, ওরা (পাকিস্তান) হয়ত একদিন ভারতের কাছে তেল বিক্রি করবে।' এদিকে ভারতের ওপর শুল্ক চাপিয়ে সাংবাদিকের ট্রাম্প বলেন, ভারত তাঁর বন্ধু। তা সত্ত্বেও মার্কিন পণ্যের ওপর বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করে ভারতই। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অপরদিকে ভারত প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'ভারতের সঙ্গে আমাদের ব্যাপক বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আমার বন্ধু, কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে খুব বেশি বাণিজ্য করেন না। তারা আমাদের দেশে অনেক পণ্য বিক্রি করে, কিন্তু আমরা বিক্রি করতে পারি না। কেন? কারণ তাদের ট্যারিফ অনেক বেশি। এখন তারা এটি অনেকাংশে হ্রাস করতে ইচ্ছুক, তবে দেখা যাক এর পরে কী হয়।' এরপর ট্রাম্প 'নয়া সময়সীমার' উল্লেখ করে বলেন, 'এই সপ্তাহের শেষের দিকে, আপনারা জানতে পারবেন যে আমরা ভারতের সঙ্গে কোনও চুক্তি করেছি কি না বা তাদের কোনও ফি দিতে হবে কি না।' এদিকে ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণার পর ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা এই সিদ্ধান্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করছে এবং এর প্রভাব খতিয়ে দেখছে।